আরও দেখুন
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস
দিনের প্রথমার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1386 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেইনি। এছাড়াও, আমি মার্কেটে অন্য কোনো এন্ট্রি পয়েন্টও খুঁজে পাইনি।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইউরোজোনের জিডিপি 0.4% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ফলাফল বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে, কিন্তু এই বিষয়টি ইউরোর উল্লেখযোগ্য চাহিদা সৃষ্টি করতে পারেনি। ইতিবাচক ফলাফল উপেক্ষার এই প্রবণতা সপ্তাহের শেষ দিকে এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে — বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান প্রকাশের আগে।
ট্রেডারদের দৃষ্টি এখন মার্কিন শ্রমবাজার এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সংক্রান্ত আসন্ন প্রতিবেদনের দিকে কেন্দ্রীভূত থাকবে। আজ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেট সেন্টিমেন্ট এবং ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির পূর্বাভাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। প্রথমেই প্রকাশিত হবে এপ্রিল মাসের ADP কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ঐতিহ্যগতভাবে বেসরকারি খাতের শ্রমবাজার পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ফলাফল অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিতে পারে, যার ফলে মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়বে এবং মার্কিন ডলার শক্তিশালী হতে পারে।
তবে, আরও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাথমিক প্রতিবেদন। এই পরিসংখ্যানটি অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা এবং সম্প্রসারণের গতি প্রতিফলিত করে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগের প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রতিবেদনে শ্লথগতির ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে — যা একযোগে মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার এবং ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবে হতে পারে। সবশেষে, পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচকটি আজকের সমস্ত প্রতিবেদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হবে। এই সূচকটি ফেডারেল রিজার্ভের পছন্দের মুদ্রাস্ফীতিমূলক পরিমাপক, যা ভোক্তাদের জন্য পণ্য ও পরিষেবার মূল্যের পরিবর্তন নির্দেশ করে। PCE-তে ঊর্ধ্বগতি ফেডকে সুদের হার পরিবর্তনে আরও সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে প্ররোচিত করতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করবো।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1440-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1386-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1440-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে ইউরোর দর বৃদ্ধির আশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1354-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1386 এবং 1.1440-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1354-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1313-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেলের কাছাকাছি ক্রেতাদের কার্যক্রম দেখা না গেলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1386-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1354 এবং 1.1313-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।