আরও দেখুন
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1305 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রির সিদ্ধান্ত নেইনি।
গতকাল বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার তুলনায় মার্কিন উৎপাদন খাত সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল ডলারের উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ISM ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত PMI সূচকটির ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক, যদিও এই ফলাফল মার্চ মাসের তুলনায় এখনো কম। তাই এই প্রতিবেদনটিকে শিল্প খাতে স্থবিরতার পর প্রকৃত পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা যাচ্ছে না।
আজ EUR/USD পেয়ারের চাহিদা পুনরায় বৃদ্ধির পেতে হলে ইউরোজোনের দেশগুলোর থেকে প্রকাশিতব্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রয়োজন — বিশেষ করে শিল্প খাতে, যেখানে পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক। শুধুমাত্র PMI প্রতিবেদনের শক্তিশালীফলাফলই ইউরোর পুনরুদ্ধারকে সমর্থন করতে পারে। এই সূচক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেলে সেটি উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি, নতুন অর্ডারের সংখ্যা বাড়া এবং ব্যবসায়িক মনোভাব উন্নত হওয়ার ইঙ্গিত দেবে — যার ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা ইউরো ক্রয়ের দিকে ঝুঁকতে পারে।
মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনও আজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) হ্রাস পেলে এই ইঙ্গিত পাওয়া যাবে যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) বছরের শেষ নাগাদ তাদের মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগোচ্ছে।
নিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি ইসিবিকে সহনশীল মুদ্রানীতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন যোগায়। বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদনও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি হ্রাস পেলে সেটি কর্মসংস্থান বৃদ্ধির এবং শ্রমবাজারের উন্নতির সংকেত দেয়। বেশি সংখ্যক কর্মরত নাগরিক মানে ভোক্তা ব্যয়ের পরিমাণও বেশি — যা অর্থনীতিকে আরও সমর্থন করে। বেকারত্বের হার ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেলে সেটি ইউরো শক্তিশালী হওয়ার পক্ষে একটি অতিরিক্ত যৌক্তিকতা হিসেবে কাজ করতে পারে।
এই অনুকূল উপাদানগুলোর সংমিশ্রণ — শক্তিশালী PMI প্রতিবেদন, CPI-এর হ্রাস, এবং হ্রাসমান বেকারত্ব — EUR/USD-এর চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1370-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1320-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1370-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। দিনের প্রথমার্ধে শুধুমাত্র ইউরোজোনের আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1293-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1320 এবং 1.1370-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1241-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1293-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1320-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1293 এবং 1.1241-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।