আরও দেখুন
GBP/USD
বিশ্লেষণ:
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ৪-ঘণ্টার চার্টে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের মূল ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভের মধ্যে একটি অস্থায়ী কারেকটিভ ফ্ল্যাট গঠিত হচ্ছে। ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী অংশটি এখনো অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি বিস্তৃত সম্ভাব্য রিভার্সাল জোনের ঊর্ধ্বসীমা বরাবর নির্ধারিত সাপোর্ট অবস্থান করছে।
পূর্বাভাস:
আগামী সপ্তাহে সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে সাপোর্ট জোনের দিকে একটি নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যার পরে একটি ড্রিফট ফেজ এবং পরবর্তীতে একটি রিভার্সাল হয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহের শেষভাগে এই পেয়ারের মূল্যের সর্বাধিক ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সম্ভাব্য রিভার্সাল জোনসমূহ:
রেজিস্ট্যান্স: 1.3430 / 1.3480
সাপোর্ট: 1.3180 / 1.3130
পরামর্শ:
বিক্রয়: দৈনিক ভিত্তিতে স্বল্প পরিমাণে সেল ট্রেড লাভজনক হতে পারে।
ক্রয়: সাপোর্ট জোনে নিশ্চিত রিভার্সাল সিগন্যাল না আসা পর্যন্ত বাই ট্রেড ওপেন করা পরামর্শযোগ্য নয়।
AUD/USD
বিশ্লেষণ:
৯ এপ্রিল থেকে অস্ট্রেলিয়ান ডলার পেয়ারে একটি বিয়ারিশ ওয়েভ স্ট্রাকচার গঠিত হচ্ছে, যা এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মূল্য একটি সাইডওয়েজ কারেকশনে প্রবেশ করেছে। ওয়েভের বর্তমান স্ট্রাকচার অসম্পূর্ণ, এবং হায়ার টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের কোট শক্তিশালী বিপরীত জোনসমূহের মধ্যবর্তী একটি সংকীর্ণ রেঞ্জের মধ্যে আবদ্ধ রয়েছে।
পূর্বাভাস:
এই সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শেষ হতে পারে এবং মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। ঊর্ধ্বসীমা বরাবর একটি সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, সপ্তাহের শেষভাগে ট্রেডিং কার্যক্রম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং এর সাথে সম্ভাব্যভাবে বিয়ারিশ রিভার্সালও দেখা যেতে পারে।
সম্ভাব্য রিভার্সাল জোনসমূহ:
রেজিস্ট্যান্স: 0.6460 / 0.6510
সাপোর্ট: 0.6350 / 0.6300
পরামর্শ:
ক্রয়: উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, লাভ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বিক্রয়: রেজিস্ট্যান্স জোনে নিশ্চিত রিভার্সাল সিগন্যাল পাওয়া গেলে সেল ট্রেড ওপেন করা যেতে পারে।
USD/CHF
বিশ্লেষণ:
জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া বিয়ারিশ ওয়েভ এখনো সুইস ফ্রাঁ পেয়ারের মূল্যের মূল প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে একটি সম্ভাব্য রিভার্সাল জোন থেকে একটি কাউন্টার-ওয়েভ কারেকশন গঠিত হচ্ছে। ওয়েভ লেভেলের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ কারেকশনের একটি ধাপ চলমান রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পূর্বাভাস:
নিকট ভবিষ্যতে এই বিয়ারিশ প্রবণতা একটি সাইডওয়েজ ফেজে রূপ নিতে পারে। এই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত সাপোর্ট জোন ব্রেকআউট করে নিচের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বরং সপ্তাহের শেষভাগে ক্রয় কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং মূল্যের রিবাউন্ডের বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্ভাব্য রিভার্সাল জোনসমূহ:
রেজিস্ট্যান্স: 0.8410 / 0.8460
সাপোর্ট: 0.8200 / 0.8150
পরামর্শ:
বিক্রয়: সম্ভাবনা কম — লোয়ার টাইমফ্রেম ও স্বল্প ভলিউমে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।
ক্রয়: ট্রেডিং সিস্টেম (TS) থেকে সাপোর্ট জোনে রিভার্সাল সিগন্যাল পাওয়ার পর বিবেচনা করা যেতে পারে।
EUR/JPY
বিশ্লেষণ:
ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া একটি বুলিশ ওয়েভ বর্তমানে EUR/JPY ক্রস পেয়ারের মূল ওয়েভ স্ট্রাকচার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মার্চ মাস থেকে একটি শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স জোন থেকে কারেকশন শুরু হয়েছে এবং এটি একটি ফ্ল্যাট স্ট্রাকচার গঠন করছে। এই ওয়েভটি বিশ্লেষণের সময় পর্যন্ত অসম্পূর্ণ ছিল।
পূর্বাভাস:
মূল্য বিদ্যমান চ্যানেলের সীমানার মধ্যে থাকতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সপ্তাহের শুরুতে রেজিস্ট্যান্স জোন বরাবর একটি সাইডওয়েজ মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার বা বৃহস্পতিবারের আগে নিম্নমুখী রিভার্সাল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের বিদ্যমান চ্যানেলের বাইরে ব্রেকআউট হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সম্ভাব্য রিভার্সাল জোনসমূহ:
রেজিস্ট্যান্স: 164.90 / 165.40
সাপোর্ট: 162.50 / 162.00
পরামর্শ:
বিক্রয়: রেজিস্ট্যান্স জোনে নিশ্চিত সিগন্যাল পাওয়ার পর লাভজনক হতে পারে।
ক্রয়: ঝুঁকিপূর্ণ এবং সম্ভাবনা সীমিত।
EUR/GBP
বিশ্লেষণ:
সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে EUR/GBP পেয়ারের মূল্য একটি দীর্ঘায়িত ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ গঠন করেছে। ১১ এপ্রিল থেকে একটি বিয়ারিশ রিভার্সাল লেগ শুরু হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রাথমিক বিয়ারিশ ইম্পালসের পর একটি ড্রিফটিং কারেকশন তৈরি হয়েছে।
পূর্বাভাস:
আগামী কয়েক দিনে সাইডওয়েজ প্রবণতার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে নির্ধারিত রেজিস্ট্যান্স জোন পর্যন্ত সম্ভাব্যভাবে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। ঊর্ধ্বসীমায় চাপ অব্যাহত থাকতে পারে। সপ্তাহের শেষের দিকে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বাড়তে পারে, যার পরে একটি রিভার্সাল ও নতুন করে নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে।
সম্ভাব্য রিভার্সাল জোনসমূহ:
রেজিস্ট্যান্স: 0.8580 / 0.8630
সাপোর্ট: 0.8430 / 0.8380
পরামর্শ:
ক্রয়: দৈনিকে ট্রেডিংয়ে স্বল্প পরিমাণে এই পেয়ার ক্রয় করা যেতে পারে।
বিক্রয়: সাপোর্ট জোনে ট্রেডিং সিস্টেম থেকে রিভার্সাল সিগন্যাল পাওয়ার পর সেল ট্রেড ওপেন করা যেতে পারে।
মার্কিন ডলার সূচক
বিশ্লেষণ:
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অন্যান্য কারেন্সির বিপরীতে মার্কিন ডলার দুর্বল হয়েছে। সূচকটি সাপ্তাহিক সম্ভাব্য রিভার্সাল জোনের ঊর্ধ্বসীমায় পৌঁছেছে। ১১ এপ্রিল থেকে একটি কারেকশন গঠিত হচ্ছে এবং বর্তমানে এই ওয়েভের C-লেগ ডেভেলপ করছে।
পূর্বাভাস:
ডলার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে সাপোর্ট জোনে একটি সাময়িক পুলব্যাক হতে পারে, যার পরে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে এবং পুনরায় একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে।
সম্ভাব্য রিভার্সাল জোনসমূহ:
রেজিস্ট্যান্স: 100.40 / 100.60
সাপোর্ট: 99.40 / 99.20
পরামর্শ:
মার্কিন ডলার শক্তিশালী হলে সেটি স্বল্পমেয়াদে প্রধান জাতীয় মুদ্রাগুলোর দরপতনের কারণ হতে পারে। তবে এই প্রবণতা অস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সহজ ওয়েভ বিশ্লেষণ (SWA) সংক্রান্ত নোট:
SWA-তে প্রতিটি ওয়েভ তিনটি সেগমেন্টে (A-B-C) গঠিত হয়। প্রতিটি টাইমফ্রেমে শুধুমাত্র সর্বশেষ অসম্পূর্ণ ওয়েভটি বিশ্লেষণ করা হয়। ড্যাশ লাইনসমূহ মুভমেন্টের পূর্বাভাস নির্দেশ করে।
সতর্কতা:
ওয়েভ অ্যালগরিদমে মূল্যের মুভমেন্টের সময়কাল বিবেচনায় করা হয় না!