আরও দেখুন
সোমবার GBP/USD পেয়ার পুরোপুরিভাবে সাইডওয়েজ প্রবণতা ট্রেড করেছে। যদিও পাউন্ডের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো ফ্ল্যাট রেঞ্জ দৃশ্যমান নয়, তবুও বর্তমান মুভমেন্টকে ঊর্ধ্বমুখী অপেক্ষা সাইডওয়েজ প্রবণতাই হিসেবেই বেশি বিবেচনা করা যায়। দিনের শুরুতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত খবরে এই পেয়ারের মূল্য সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রকাশের পরপরই তা হ্রাস পায়। উভয় ক্ষেত্রেই ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা কম ছিল। সামগ্রিকভাবে, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো নতুন শুল্কের ঘোষণা, বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের প্রশমন, ট্রাম্প প্রশাসনে রদবদল এবং হোয়াইট হাউস থেকে আসা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য অপেক্ষা করছে।
গত সপ্তাহে, মার্কেটের ট্রেডাররা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল মূলত উপেক্ষা করেছিল। একই প্রবণতা চলতি সপ্তাহেও দেখা যেতে পারে, বিশেষ করে যখন ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BoE) ও ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যদিও বৃহস্পতিবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে, তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডারদের সেই নিয়ে খুব একটা উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে এগুলোর কার্যকারিতা অত্যন্ত দুর্বল ছিল। সবগুলো সিগন্যাল 1.3289–1.3297 রেঞ্জের কাছাকাছি গঠিত হয়েছিল এবং কোন ধরনের স্পষ্ট মুভমেন্ট ছাড়াই এই পেয়ারের মূল্য একাধিকবার উক্ত লেভেল অতিক্রম করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমানে মার্কেটে শুধুমাত্র রেঞ্জ-ভিত্তিক নয়, বরং বেশ বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন যুক্তিসঙ্গত ও টেকনিক্যাল মুভমেন্ট খুবই কমই দেখা যাচ্ছে।
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, কিন্তু মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি এখনো সম্পূর্ণরূপে ট্রাম্পকে কেন্দ্র করে ঘুরপাক খাচ্ছে। ফলে, পাউন্ডের মূল্য এখনো বাড়ছে অথবা অন্ততপক্ষে উচ্চ লেভেলে অবস্থান ধরে রাখছে। এখনো পর্যন্ত ভবিষ্যতে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। ভবিষ্যতে হয়তো এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে, তবে এখনই তার কোনো লক্ষণ নেই।
মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের ফলাফল বেশিরভাগই হতাশাজনক ছিল, এবং সামনের দিনগুলোতেও এই সূচকগুলোর বড় ধরনের উন্নতির সম্ভাবনা খুবই কম। তাই বর্তমান শুধুমাত্র ডলারের একটি টেকনিক্যাল রিবাউন্ডের সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেড করার জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচকের দ্বিতীয় সংশোধিত হিসাব প্রকাশিত হবে, তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। তাই আমরা আজ এই পেয়ারের মূল্যের উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা বা প্রবণতা-ভিত্তিক মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি না।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।