empty
 
 
07.05.2025 07:53 AM
৭ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গেছে, যদিও মূল্য এখনো এমন একটি সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই রয়েছে যা সব ট্রেডারের কাছে স্পষ্ট নাও হতে পারে। তবে ১ ঘণ্টার টাইমফ্রেমে স্কেল কমিয়ে দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, ১৬ এপ্রিল থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.3203 এবং 1.3440 লেভেলের মধ্যে ট্রেড করছে। হ্যাঁ, এটি একটি প্রশস্ত চ্যানেল, কিন্তু তারপরও এটি একটি রেঞ্জ-ভিত্তিক মুভমেন্ট। তাই, গতকাল আমরা ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্যের আরেকটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখেছি—যার পেছনে প্রকৃত কোনো কারণ ছিল না, এবং প্রয়োজনও ছিল না, কারণ সাইডওয়েজ মার্কেটে মূল্য স্বাভাবিকভাবেই এলোমেলোভাবে দুই দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। আজ সন্ধ্যায় ফেডের বৈঠক এবং আগামীকাল ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তাত্ত্বিকভাবে, ব্রিটিশ পাউন্ডের কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া উচিত, কারণ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড প্রায় নিশ্চিতভাবে সুদের হার কমাবে, আর ফেড তা করবে না। তবে আবারও উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বর্তমানে এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকগুলোও ট্রেডারদের সিদ্ধান্তের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলছে না।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কারণ সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্য মূলত একদিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। প্রথম বাই সিগন্যালটি রাতের বেলায় 1.3259 লেভেলের কাছাকাছি গঠিত হয়েছিল—যেটি যথার্থতার দিক থেকে নিখুঁত ছিল। এরপর 1.3329 লেভেলের কাছাকাছি একটি ভুল সেল সিগন্যাল তৈরি হয় এবং পরে একই লেভেলের কাছাকাছি একটি কার্যকর বাই সিগন্যাল তৈরি হয়। মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট 1.3365 লেভেলের ওপরে গিয়ে শেষ হয়, ফলে ট্রেডাররা দুটি ট্রেড থেকে লাভ করতে পেরেছেন ও একটি ট্রেড থেকে লোকসান করেছেন।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে, যেখানে পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে বা উচ্চ লেভেলে স্থির রয়েছে। তাই এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। ভবিষ্যতে হয়তো সামষ্টিক প্রতিবেদনের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের মনোভাব পরিবর্তিত হবে, তবে বর্তমানে তেমন কোনো ইঙ্গিত নেই।

বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। এমনকি আসন্ন ফেড ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকও এই পেয়ারে মূল্যের কোনো যৌক্তিক বা ধারাবাহিক মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারেনি। আমরা গতকাল একটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখেতে পেয়েছি, কিন্তু আজ হয়তো ফেডের বৈঠকের আগেই একটি নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

বুধবারের জন্য ৫ মিনিটের চার্টে প্রাসঙ্গিক ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107,
1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, আর যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হবে। যদিও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট, তবুও মার্কেটে জোরালো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে কি না, বা ফেডের অবস্থান বদলাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.