আরও দেখুন
বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই ট্রেড করেছে, যা ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। যেমনটি আমরা পূর্বাভাস দিয়েছিলাম, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক মার্কেটে তেমন কোনো পরিবর্তন আনেনি। যদিও সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, বাস্তবিক অর্থে এই বৈঠকের কোনো প্রভাব পড়েনি। ফেড মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে এবং জেরোম পাওয়েল আবারও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ট্রাম্পের শুল্ক নীতির পূর্ণ প্রভাব দেখতে অপেক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। এর ফলে মুদ্রানীতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি, এবং ভবিষ্যতে নীতিমালা নমনীয় করার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়নি। মার্কিন ডলার শক্তিশালী হতে পারত, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো বাণিজ্যযুদ্ধ বাদে প্রায় সব খবর উপেক্ষা করছে। ফলে এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বুধবার কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়নি এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রাও কম ছিল। মনে করিয়ে দিই যে আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ঘোষণার ঠিক আগে বা পরে কোনো পজিশন নেওয়ার পরামর্শ দিই না। তাই এই সময়ের মুভমেন্ট আমাদের বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত থাকে না। তবুও, এই সময়কাল অন্তর্ভুক্ত করলেও, রাতের শেষভাগে 1.1292 লেভেলের কাছাকাছি একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যেটির ভিত্তিতে ট্রেড করা উচিত হয়নি।
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে গত তিন সপ্তাহ ধরে এই পেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ লেভেলের কাছাকাছি একটি সাইডওয়েজ রেঞ্জে আটকে আছে। সামগ্রিকভাবে মার্কিন ডলারের প্রতি এখনো প্রবল নেতিবাচক মনোভাব বিদ্যমান, তবে যদি ট্রাম্প বাণিজ্য সংঘাত প্রশমনের দিকে অগ্রসর হন, তাহলে ডলারের দর কিছুটা বাড়তে পারে। তবে তা আদৌ হবে কি না, অথবা কবে হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ মার্কেটের মুভমেন্ট এখনো অনেকাংশে ট্রাম্পের বিবৃতি ও সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। যেহেতু সম্প্রতি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে খুব বেশি নতুন খবর আসেনি, তাই আমরা মনে করছি যে এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট আজও অব্যাহত থাকতে পারে। এই রেঞ্জের নিচের সীমা (1.1275) থেকে রিবাউন্ডের ফলে এই পেয়ারের মূল্য বেড়েছে, এবং 1.1292 লেভেল থেকেও একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবারের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1189–1.1191, 1.1275–1.1292, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622, 1.1666, 1.1689।
বৃহস্পতিবার ইউরোজোনে জার্মানির ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বা শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত একটি তুলনামূলকভাবে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্রেও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও কম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশ করা হবে। তাই আজই এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট শেষ হয়ে যাবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।