empty
 
 
08.05.2025 08:32 AM
৮ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং সেগুলোর মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানিতে মার্চ মাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বা শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সাপ্তাহিক জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতার আবেদনসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনগুলো সাধারণ পরিস্থিতিতেও গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ বিবেচিত হয়, তাই আমরা এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রভাবে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করছি না। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের এখনো ফ্ল্যাট থাকার প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে রয়েছে, আর মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নতুন কোনো পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে, তারা কার্যত ৯০% সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক বিষয় উপেক্ষা করছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বর্তমানে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার তেমন যৌক্তিকতা নেই। যদিও এই সংঘাত আপাতত স্থগিত রয়েছে, তবে ট্রাম্প যদি আবার নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ানো শুরু করেন, তাহলে ফের ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ডলারের দর আরও কমে যেতে পারে, আর বাণিজ্যযুদ্ধের প্রশমন বা শান্তির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া গেলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন চীনের প্রতি তার অবস্থান কিছুটা নমনীয় করছেন, তবে এটিকে এখনো প্রকৃত অর্থে "বাণিজ্যযুদ্ধের প্রশমন" হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। কারণ, এখনো চীনের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়নি, তাই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করাটা এখনই সময়োপযোগী নয়। প্রকৃতপক্ষে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য কার্যত স্থবির অবস্থায় রয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জানেন, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে মার্কিন অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই নিকট ভবিষ্যতে তার পক্ষ থেকে নতুন কোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ দেখা যাবে না বলেই মনে হচ্ছে। তার বাণিজ্যনীতির অর্থনৈতিক প্রভাব গত বুধবারই স্পষ্ট হয়ে গেছে। আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হবে। ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ০.২৫% হারে মূল সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে প্রত্যাশা রয়েছে, তবে কয়েকদিন ধরেই এই সিদ্ধান্ত মার্কেটে প্রত্যাশিত ছিল। যদি মার্কেটের টেডাররা এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া দেখাতে চাইত, তাহলে পাউন্ড ইতোমধ্যেই দরপতনের শিকার হত।

উপসংহার:

সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইউরোর মূল্যের এখনো ফ্ল্যাট থাকার প্রবণতা বিরাজ করছে, এবং 1.1275–1.1292 জোন থেকে প্রতিটি বাউন্স নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট সৃষ্টই করতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের তুলনামূলকভাবে বেশি বুলিশ প্রবণতা দেখা গেলেও টেকনিক্যালি এটির মূল্যও ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে। আজকের দিনটি সামষ্টিক প্রেক্ষাপটগত দিক থেকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। শুধুমাত্র ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের প্রভাবই উভয় পেয়ারের চার্টে কিছুটা প্রতিফলিত হতে পারে, তবে সেটি বর্তমানে বিদ্যমান রেঞ্জ-ভিত্তিক ট্রেডিংয়ের সমাপ্তির জন্য যথেষ্ট হবে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.