আরও দেখুন
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1348 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি যথার্থ এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1303 এর টার্গেট লেভেলের দিকে হ্রাস পেতে শুরু করে।
গতকাল ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ৪.৫০%-এ অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল এবং বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্ক মনোভাব প্রতিফলিত করে, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল এবং মুদ্রাস্ফীতি মাঝারি মাত্রায় রয়েছে। তবে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বিবৃতিতে তিনি বাণিজ্য শুল্ক আরোপের সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা তুলে ধরে বলেন এটি মুদ্রানীতির দিকনির্দেশনায় কিছুটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। পাওয়েল উল্লেখ করেন, শুল্কের ফলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়ে গিয়ে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে, এবং একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের উচ্চ ব্যয় করতে হতে পারে ও ভবিষ্যতের বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে, যা অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে মন্থর করে দিতে পারে। তার মতে, এই বিষয়গুলো ফেডের বর্তমান নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নের কারণ হতে পারে, যদিও তিনি জোর দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনই কোনো পরিবর্তনের জন্য তড়িঘড়ি করছে না। পাওয়েলের মন্তব্যে মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া ছিল সীমিত। বিনিয়োগকারীরা তার বক্তব্যের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় দিককেই বিবেচনায় নিয়েছে। সামনের দিকে, ফেডের পরবর্তী পদক্ষেপ অনেকটাই নির্ভর করবে আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতির উপর।
আজ সকালে জার্মানিতে শিল্প উৎপাদন এবং বাণিজ্য ঘাটতি/উদ্বৃত্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। সাধারণত এই সূচকগুলোর ফয়ালফল ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে না, তবে এগুলো জার্মানির অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু অন্তর্দৃষ্টি দেবে। যদি শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, তাহলে ইউরোর মূল্য কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। বিশেষ গুরুত্ব থাকবে ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পোনেন্টের দিকে, কারণ এই খাতই জার্মান অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। ট্রেড সারপ্লাস বা বাণিজ্য উদ্বৃত্তও ভূমিকা রাখবে। এই সূচকের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেলে এটি ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, আর যদি বাণিজ্য ঘাটতি বা পতন পরিলক্ষিত হলে ইউরোর ওপর চাপ তৈরি হতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1376-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1339-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1376 এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1321-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1339 এবং 1.1376-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1321-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1287-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1339-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1321 এবং 1.1287-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।