আরও দেখুন
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের অনেক ওপরে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3359 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর পুনরায় 1.3359 এর লেভেল টেস্ট করা হয়, তখন MACD সূচকটি ওভারবট জোন থেকে নিচে নামতে শুরু করে, যার ফলে পাউন্ড বিক্রির জন্য পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ পাওয়া যায় এবং এতে ৩০ পিপসের বেশি দরপতন ঘটে।
গতকাল ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ৪.৫০%-এ অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়, যা ট্রেডারদের কাছে প্রত্যাশিত পদক্ষেপ ছিল। এই পদক্ষেপ বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্ক মনোভাব প্রতিফলিত করে—যেখানে মাঝারি মাত্রার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। ফেডের চেয়ার জেরোম পাওয়েলের মন্তব্য়ে নতুন কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি হয়নি; বরং তার বক্তব্যের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নতুন শুল্ক নীতির সম্ভাব্য ঝুঁকি। পাওয়েল জোর দিয়ে বলেন, শুল্ক আরোপ করলে আমদানি পণ্যের খরচ বেড়ে গিয়ে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। ফেড যতক্ষণ না এর প্রভাব সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারছে, ততক্ষণ সুদের হার কমানোর কোনো আলোচনা হবে না। এর ফলে পাউন্ডের উপর চাপ সৃষ্টি হয় এবং ডলার কিছুটা শক্তিশালী হয়।
তবে আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মূল সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কারণে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে, যেখানে সুদের হার ৪.২৫%-এ নামিয়ে আনার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মূল দৃষ্টি থাকবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন বা "Monetary Policy Report"-এর উপর। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যে ভবিষ্যতে সুদের হারের ব্যাপারে কোনো নতুন দিকনির্দেশনা আসে কি না। যদিও সুদের হার কমানো হলে সেটি অর্থনীতিকে কিছুটা উদ্দীপনা দিতে পারে, তবে এটি মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার ফলে ডলারের বিপরীতে পাউন্ড দরপতনের শিকার হতে পারে। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাসের ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টিভঙ্গিআরও স্পষ্ট হবে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3391-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3359-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3391-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। সুদের হার অপরিবর্তিত থাকলে পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি ঘটতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3330-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3359 এবং 1.3391-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3330-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3289-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। শুধুমাত্র ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করলে এবং সুদের হার কমালে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3359-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3330 এবং 1.3289-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।