আরও দেখুন
শুক্রবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। মৌলিক প্রেক্ষাপট থেকেও কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে না, তবে মূল সমস্যা হলো—মূল্য়ের মুভমেন্টের পেছনে আসলে কোন বিষয়টি কাজ করছে, সেটি এখন সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। বুধবার ও বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পাউন্ড ও ইউরোর দরপতনের যথেষ্ট কারণ ছিল। তবে এই ধরনের কারণ পূর্বেও ছিল, যখন কোনো কারেকশন ছাড়াই উভয় কারেন্সির মূল্য সক্রিয়ভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। তাই শুক্রবার আরেকবার ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, এবং শুধুমাত্র টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর অবশ্যই, ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে আবারও মার্কেটের ভোলাটিলিটি বাড়িয়ে দিতে পারেন।
ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনার তেমন কোনো প্রয়োজন নেই, যদিও এখনো সংঘাত সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। যদি ট্রাম্প আবারও নতুন করে শুল্ক আরোপ বা বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন, তাহলে আবার ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। নতুন করে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে সেটি ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে পারে, অপরদিকে, বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমনের যেকোনো ইঙ্গিত ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে। গতকাল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়েছেন, যার ফলে অন্যান্য কারেন্সিগুলোর বিপরীতে ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত ছিল। মনে রাখতে হবে, যদি ডলার কোনো উত্তেজনাকর খবরে হঠাৎ দরপতনের শিকার হয়, তাহলে শান্তির খবরেও এটির মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া উচিত। তাই যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার জন্য একটি সহায়ক উপাদান হওয়া উচিত। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন ও ইইউ-র চুক্তির দিকেই বেশি আগ্রহী।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এই মুহূর্তে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ওপর ভরসা করাও কঠিন। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে, এটির মূল্য এখনো সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে রয়েছে, তাই দরপতনের চেয়ে সেই চ্যানেলের নিচের সীমা থেকে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।