empty
 
 
13.05.2025 06:43 AM
১৩ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর বেশিরভাগ প্রতিবেদনই EUR/USD ও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে খুব সামান্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করিয়ে দিচ্ছি, বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না—তাদের মূল মনোযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত পরিস্থিতির দিকে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কিছু লক্ষণ দেখা গেছে, যার ফলে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে। আজ যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব ও মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন, ইউরোজোনে অর্থনৈতিক মনোভাব সূচক এবং যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমাদের মতে, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ডলারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার এখনও খুব বেশি প্রয়োজন দেখা যাচ্ছে না। বাণিজ্য সংঘাতের তীব্রতা আপাতত থেমে আছে, এবং ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিলেও সেগুলোর বিস্তারিত এখনো স্পষ্ট নয়। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ শুরু করেন, পুরনো শুল্ক বাড়ান, কিংবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে ঘোষিত চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হন তাহলে ডলারের দরপতন আবারও শুরু হতে পারে। তবে, যেহেতু বাণিজ্য যুদ্ধের প্রশমন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে, এই প্রক্রিয়া ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে, যেমনটি আমরা সোমবার দেখেছি।

অতএব, ভবিষ্যতের মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরি ট্রাম্পের উপর নির্ভর করছে—বা, আরও নির্দিষ্ট করে বললে, তার ঘোষিত বাণিজ্য চুক্তিসমূহ স্বাক্ষরিত হচ্ছে কি না এবং তিনি আগের আরোপিত শুল্কগুলো কতটা কমাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করছে।

উপসংহার:

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই আরও কিছুটা নিম্নমুখী হতে পারে, কারণ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে 115% শুল্ক হ্রাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক অগ্রগতি, যা মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল। তবে, গত তিন মাসের দরপতনের পর ডলারের পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হতে হলে বাণিজ্যযুদ্ধের মাত্রা ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেতেই হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.