empty
 
 
14.05.2025 07:57 AM
১৪ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার সোমবারের দরপতন প্রায় পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করেছে। বাস্তবতা অনুযায়ী, মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী কারণ প্রয়োজন হয়—যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি, শুল্ক হ্রাস, অথবা বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর। সাধারণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন কিংবা এমনকি ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকও এখন আর মার্কেট সেন্টিমেন্টে তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না। অন্যদিকে, ডলারের দরপতন শুরু হওয়ার জন্য খুব অল্প কারণই যথেষ্ট—একটি সাধারণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন, ফেডের ভবিষ্যৎ সুদহার হ্রাস নিয়ে ট্রেডারদের প্রত্যাশা, কিংবা কোনো কারণ না থাকলেও ডলার দরপতনের শিকার হতে পারে। গতকাল রাতে থেকেই মার্কিন ডলার দুর্বল হতে শুরু করে। দুপুরে প্রকাশিত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাওয়ার ইঙ্গিত মিললে, ট্রেডাররা সঙ্গে সঙ্গেই ধরে নেয় যে, ফেড হয়তো পরবর্তী বৈঠকেই সুদের হার কমাতে পারে। যদিও জেরোম পাওয়েল জানিয়েছেন, বছরের শেষ পর্যন্ত মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত রাখা হবে—তবু এই মন্তব্যগুলো এখন গুরুত্ব হারাচ্ছে, কারণ ফেড কী করবে, তা এখন ট্রেডাররাই নির্ধারণ করে নিচ্ছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে অন্তত দুটি শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। প্রথমে, মূল্য 1.1091 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে, এবং পরে 1.1132–1.1140 এরিয়া ব্রেক করে যায়। উভয় ক্ষেত্রেই লং পজিশন ওপেন করা সম্ভব ছিল। দিনের শেষে, পেয়ারটির মূল্য 1.1191–1.1198 এরিয়ায় পৌঁছায়, ফলে দুটি ট্রেডই মুনাফার সাথে ক্লোজ হয়েছে।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অবশেষে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। সামগ্রিকভাবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মার্কিন ডলারের প্রতি বেশ নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। তবে, যেহেতু ট্রাম্প এখন বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের পথে হাঁটছেন, তাই স্বল্পমেয়াদে ডলারের দর কিছুটা বাড়তে পারে। তবে ডলারের দর কতটুকু বাড়বে, তা নির্ভর করবে—তিনি কতগুলো বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে স্বাক্ষর করতে পারেন তার উপর।

বুধবার মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গতকালের প্রবণতা এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ডলার কেনার ব্যাপারে অনিচ্ছুক। আজ যদি ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকে, তাহলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1191–1.1198, 1.1275–1.1292, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, এবং 1.1607–1.1622। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বুধবার শুধুমাত্র জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তাই, যদি ট্রাম্প আবার সংবাদ শিরোনামে উঠে না আসেন, তাহলে আজকের দিনটি তুলনামূলকভাবে কম অস্থিরতাসম্পন্ন হতে পারে এবং সীমিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.