empty
 
 
16.05.2025 09:18 AM
১৬ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

শুক্রবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং সেগুলোর গুরুত্ব বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর চেয়েও কম, যেগুলো মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি। সার্বিকভাবে, একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সি অব মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক, যা সন্ধ্যায় প্রকাশিত হবে। দিনের বেলা—সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট যেভাবেই গড়ে উঠুক না কেন—তা EUR/USD কিংবা GBP/USD পেয়ারের মূল্যে মুভমেন্টে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্য লেন এবং চিপোলোনের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে, তবে ইসিবির বর্তমান মুদ্রানীতিগত অবস্থান প্রায় শতভাগ স্পষ্ট। আমাদের দৃষ্টিতে, এখন শুধুমাত্র মার্কিন ডলার বিক্রির জন্য মার্কেটে প্রাসঙ্গিক দুটি বিষয় রয়েছে: বাণিজ্য যুদ্ধ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক খবর। বাণিজ্য যুদ্ধ আপাতত স্থগিত রয়েছে, এবং ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিচ্ছেন, তবে এই তথ্য ডলারকে কেবল সামান্যই সহায়তা করছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করা শুরু করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন, কিংবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হন তাহলে ডলারের আরও একবার দরপতন ঘটতে পারে। তবে ইতোমধ্যেই শুরু হওয়া বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া অন্তত মাঝে মাঝে মার্কিন মুদ্রাকে সমর্থন যোগাতে পারে। তারপরও, এটা স্বীকার করা জরুরি যে, বর্তমানে মার্কেটে ডলারের প্রতি সামগ্রিক মনোভাব খুবই নেতিবাচক, যার ফলে মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী কোনো বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

This image is no longer relevant

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, যেকোনো দিকেই EUR/USD এবং GBP/USD উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট যেতে পারে। সামষ্টিক প্রেক্ষাপট দুর্বল, আর ট্রাম্প ঠিক কখন আবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসবেন—সেই পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। আমরা অনুমান করছি, আজ খুবই সামান্য মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে এবং সম্ভবত সাইডওয়েজ (ফ্ল্যাট) ট্রেডিং দেখা যাবে। শুধুমাত্র শক্তিশালী টেকনিক্যাল সিগন্যাল থাকলেই ট্রেডিংয়ের কথা বিবেচনা করা উচিত।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.