আরও দেখুন
মঙ্গলবার মূলত GBP/USD পেয়ারের সাইডওয়েজ ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে, তবে বুধবার সকালের শুরুতেই এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। ৪-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে দেখা যাচ্ছে যে মূল্য এখনো 1.3203–1.3440 এর হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যেই রয়েছে এবং বর্তমানে মূল্য এই চ্যানেলের উপরের সীমার কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে। তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের এই তীব্র ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট—যা মূলত মার্কিন ডলারের আরেকটি দরপতনের প্রতিফলন—ইঙ্গিত দেয় যে সেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হতে পারে, যা ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল। গত এক মাসে ডলার সামান্য কারেকশন ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি, যদিও ডলারের মূল্যের বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য অনেক কারণ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একসঙ্গে শুল্ক 115% হারে কমিয়েছে, ৭৪টি দেশের উপর শুল্ক তিন মাসের জন্য 10%-এ নামানো হয়েছে, ফেড আবার হকিশ বা কঠোর অবস্থানে ফিরে গেছে, এবং ইসিবি ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমিয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার কিনতে শুরু করার জন্য আর কী দরকার? স্পষ্টতই, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা ডলার বাদ দিয়ে যেকোনো মুদ্রা কেনার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপস্থিতিই যথেষ্ট।
মঙ্গলবার 5-মিনিট টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছিল, তবে সেগুলো বেশ দুর্বল ছিল কারণ এই পেয়ারের মূল্য একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জেই আটকে ছিল। প্রথমে মূল্য 1.3365 লেভেলের ওপরে কনসোলিডেট করে, তবে কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে মাত্র 15 পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করে। এরপর মূল্য 1.3365 লেভেলের নিচে কনসোলিডেট করে এবং 20 পিপসের একটি ছোট মুভমেন্ট দেখা যায়। তাই দুটি সিগনালকেই ভুল হিসেবে ধরা যেতে পারে, যদিও দ্বিতীয় ট্রেড থেকে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়নি।
1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং ট্রেডাররা তার নীতিমালার প্রতি প্রবল সংশয় প্রদর্শন করছে। এটি মনে রাখা উচিত যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা মূলত ডলারের জন্যই ইতিবাচক—কারণ এর আগে প্রতিটি শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা-সম্পর্কিত খবরের প্রভাবে ডলারই দরপতনের শিকার হয়েছে। এখন, প্রতিটি বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের খবরে ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়া উচিত, এবং সাম্প্রতিক সময়ে এমন বহু খবর মার্কেটে সাড়া ফেলেছে। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো ডলারের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না এবং এটি কেনার ইচ্ছাও প্রকাশ করছে না।
বুধবার আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে মার্কেটের ট্রেডাররা আবার ডলার বিক্রি করার নতুন অজুহাত খুঁজবে বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ খবরের অপেক্ষা করবে। দিনশেষে পরিস্থিতি অপরিবর্তিতই থাকছে।
৫-মিনিট চার্টে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হল: 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421-1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580-1.3598।
বুধবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই মার্কেটে সম্ভবত ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যাবে অথবা কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।