empty
 
 
26.05.2025 06:53 AM
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ, ২৬ মে: পুনরায় ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে

GBP/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ

This image is no longer relevant

GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের সীমানা ব্রেক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তারপর ট্রাম্পের কাছ থেকে নতুন আগ্রাসী পদক্ষেপের অপেক্ষায় কিছুক্ষণের জন্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট থেমে যায়, তারপর আত্মবিশ্বাসের সাথে এই পেয়ারের মূল্য আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়। আমরা ইতোমধ্যেই মার্কিন ডলারের সর্বশেষ দরপতনের কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আরও অনেকবার এমন দরপতন হতে পারে, কারণ ট্রাম্পের আরেকটি "উজ্জ্বল" পরিকল্পনা "কেমন করে যেন" আবার ব্যর্থ হয়ে গেছে। ট্রাম্প আশা করেছিলেন তার "কালো তালিকাভুক্ত" দেশগুলো তিন মাসের শুল্ক ছাড়ের সময়কালের মধ্যে তাকে খুশি করতে ছুটে আসবে, আর তার শুধু ৭৫টি বাণিজ্য চুক্তিতে সই করে "যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দশকের পর দশক ধরে চলে আসা অবিচার ও শোষণের" বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বিজয় ঘোষণা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না। আমাদের অনুমান ছিল, ছোট ছোট দেশগুলো মার্কিন বাজার হারানোর ঝুঁকি থেকে বাঁচতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করবে, কারণ এটি তাদের জন্য বড় অর্থনৈতিক ধাক্কা হতে পারত।

কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, শুধু ইইউ বা চীনই নয়, ছোট দেশগুলোও আলোচনায় আগ্রহী নয় বা সক্ষম নয়। তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি বা আলোচনা হচ্ছে এমন কোনো তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে যেসব বিবৃতি আসছে, সেগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়ার মতো কিছু নেই। ট্রাম্প ও তার টিমের ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করছে। যদি প্রবৃদ্ধি না বাড়ে, তাহলে সেটা বাইডেনের দোষ। যদি অর্থনীতি সংকুচিত হয়, তাহলে সেটা সাময়িক। কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে না, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্ষুব্ধ অবস্থায় রয়েছেন, এবং নতুন করে শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে "দ্বন্দ্বময় ডলার" পরিত্যাগ না করে মার্কেটের ট্রেডারদেরই বা কী করার আছে?

৫ মিনিটের চার্ট অনুযায়ী, শুক্রবারের ট্রেডিং সিগন্যালগুলো খুব একটা কার্যকর ছিল না, কারণ ট্রাম্পের "বৈশ্বিক ন্যায়বিচার প্রাপ্তির প্রচারণা" মার্কেটের ট্রেডারদের ভীত করে তুলেছিল। পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট এখন অ্যাপলের বিরুদ্ধেও শুল্ক আরোপ করার কথা বিবেচনা করছেন, যারা "কোনো এক কারণে" উৎপাদন কার্যক্রম আমেরিকায় ফেরাতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।

COT রিপোর্ট

This image is no longer relevant

ব্রিটিশ পাউন্ডের COT রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে গত কয়েক বছরে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের মনোভাব বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। লাল এবং নীল লাইন — যা কমার্শিয়াল ও নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নিট পজিশন নির্দেশ করে — প্রায়ই একে অপরকে অতিক্রম করেছে এবং সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি অবস্থান করেছে। বর্তমানে সেগুলো আবার কাছাকাছি রয়েছে, যা লং ও শর্ট পজিশনের প্রায় সমতা নির্দেশ করে। তবে গত দেড় বছরে নিট পজিশনের সংখ্যায় ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে ডলার এখনো দুর্বল হতে থাকায় ব্রিটিশ পাউন্ডের প্রতি মার্কেট মেকারদের চাহিদার তেমন গুরুত্ব নেই। যদি বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার ধারাবাহিকতা আবার শুরু হয়, তাহলে ডলার শক্তিশালী হওয়ার একটি সুযোগ পেতে পারে — কিন্তু সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপ 1,400 লং কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 1,800 শর্ট কন্ট্রাক্ট ওপেন করেছে, যার ফলে নিট লং পজিশনের সংখ্যা 3,200 কমেছে।

সম্প্রতি পাউন্ডের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, তবে এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে এর একমাত্র কারণ হচ্ছে ট্রাম্পের গৃহীত নীতি। একবার এই প্রভাব নিরপেক্ষ হয়ে গেলে, ডলারের দর আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে। নিজস্ব কোনো আভ্যন্তরীণ চালিকা শক্তির কারণে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও, এই মুহূর্তে "ট্রাম্প ফ্যাক্টর" ট্রেডারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যথেষ্ট।

GBP/USD পেয়ারের 1 ঘন্টার চার্টের বিশ্লেষণ

This image is no longer relevant

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, GBP/USD পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের সীমানা ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের পরবর্তী মুভমেন্ট এখন পুরোপুরিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ সংক্রান্ত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। তবে বলা যায়, পাউন্ডের মূল্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি ও ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সাধারণ ট্রেডারদের মনোভাবের ওপরও নির্ভর করছে। এই মুহূর্তে, সেই মনোভাব অত্যন্ত নেতিবাচক। ডলার দরপতন অব্যাহত রয়েছে — এবং যখনই নতুন শুল্ক সম্পর্কিত সংবাদ শিরোনাম আসে, তখন সেই দরপতনের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যায়।

২৬ মে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো 1.2863, 1.2981–1.2987, 1.3050, 1.3125, 1.3212, 1.3288, 1.3358, 1.3439, 1.3489, 1.3537, 1.3572, 1.3637–1.3667, এবং 1.3741। সেইসাথে সেনকৌ স্প্যান বি লাইন (1.3269) ও কিজুন-সেন লাইন (1.3435) থেকেও ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া যেতে পারে। মূল্য সঠিক দিকে ২০ পিপস অগ্রসর হলে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত। ইচিমোকু ইনডিকেটরের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তিত করতে পারে এবং সিগন্যাল বিশ্লেষণের সময় তা বিবেচনায় রাখতে হবে।

সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা তাৎপর্যপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।

চিত্রের ব্যাখা:

  • মূল্যের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল – গাঢ় লাল লাইন; যেখানে মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যেতে পারে। তবে এগুলো সরাসরি ট্রেডিং সিগন্যাল নয়।
  • কিজুন সেন ও সেনকৌ স্প্যান বি লাইন – শক্তিশালী ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের লাইন, যা ৪-ঘণ্টা চার্ট থেকে ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্থানান্তর করা হয়েছে।
  • এক্সট্রিম লেভেল – হালকা লাল লাইন; যেখানে পূর্বে মূল্য রিবাউন্ড করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে।
  • হলুদ লাইন – ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল প্যাটার্ন নির্দেশ করে।
  • COT ইন্ডিকেটর 1 – চার্টে প্রতিটি গ্রুপের ট্রেডারদের নিট পজিশনের পরিমাণ প্রদর্শন করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.