আরও দেখুন
সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3580 লেভেলে পৌঁছায় — যা গত তিন বছরের মধ্যে ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বোচ্চ মূল্য। যেমনটি আমরা আগেও বলেছি, এই দর বৃদ্ধির জন্য পাউন্ড কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই ধন্যবাদ জানাতে পারে। গত ১৬ বছর ধরে ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ই ডলারের বিপরীতে দুর্বল ছিল, এবং কেবলমাত্র ট্রাম্পের আগমনের পর থেকেই এগুলো নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এটি স্পষ্ট যে ইউরো বা পাউন্ডের মূল্য বাড়েনি — বরং মার্কিন ডলার দরপতনের শিকার হয়েছে। সুতরাং এই বুলিশ মুভমেন্টের জন্য পাউন্ড নিজে কোনো কৃতিত্ব পাচ্ছে না। তবে ট্রাম্প আরও কয়েক মাস ধরে ডলারের মূল্যকে অতল গহ্বরে ঠেলে দিতে পারেন। শুল্কসংক্রান্ত পরিস্থিতি এখনো অস্পষ্ট এবং ট্রাম্পের অবস্থান প্রতি সপ্তাহেই পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি একদিন বলেন, "আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে, বড় চুক্তি আসছে," আর পরদিন বলেন, "আলোচনা ব্যর্থ, আমি শুল্ক বাড়াতে যাচ্ছি।" মার্কেটের ট্রেডাররা তার এই অনিশ্চিত মনোভাবের সঙ্গে তাল মেলাতে মেলাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, তাই এখন তারা কেবল ডলার বিক্রি করছে এবং ইতিবাচক কোনো খবরই পাত্তা দিচ্ছে না — কারণ পরদিন ট্রাম্প নিজেই সেটি অস্বীকার করবেন, মার্কেটের ট্রেডাররা এমনটাই ধরে নিচ্ছে।
সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় সেশনের শুরুতে, মূল্য 1.1413–1.1424 জোন থেকে রিবাউন্ড করে, এরপর দিনের বাকি সময় নিম্নমুখী হতে থাকে। শর্ট ট্রেড যেকোনো সময় ক্লোজ করা যেত, গড় লাভ ছিল প্রায় ২৫ পিপস। পুরো দিনজুড়ে খুব একটা বেশি অস্থিরতা দেখা যায়নি।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি অত্যন্ত সংশয়ী অবস্থানে রয়েছে। যদিও বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কিছু সংকেত দেখা যাচ্ছে, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখন আর সেগুলোর প্রতি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে না — ঠিক যেমনটি তারা এখন ফেড বা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতিতে পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও প্রতিক্রিয়া জানায় না, এমনকি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটেও নয়। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন শুধু ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালার প্রতিই নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে, বরং তারা নিশ্চিতভাবে নেতিবাচক ফলাফলের প্রত্যাশা করে।
মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট আবারও অব্যাহত থাকতে পারে। একদিন বিশ্রাম যথেষ্ট। মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও কোনো অজুহাতে ডলার বিক্রি করতে চাইবে — অথবা কেবল নতুন কোনো সংবাদ শিরোনামের জন্য অপেক্ষা করবে। মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
৫ মিনিটের চার্ট অনুযায়ী ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা যেতে পারে: 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3421–1.3443, 1.3537, 1.3580–1.3592, 1.3652–1.3660, 1.3695।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে ভুলে গেলে চলবে না — ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিতে পারেন, যেমনটি তিনি শুক্রবার ও সোমবারে করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।