আরও দেখুন
মঙ্গলবার খুবই অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। জার্মানি থেকে প্রকাশিত হবে কনজ্যুমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স, আর যুক্তরাষ্ট্রে ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন প্রতিবেদনটি ট্রেডারদের আগ্রহ আকর্ষণ করতে পারে, বিশেষ করে কারণ মার্চ মাসে এই প্রতিবেদনে রেকর্ড বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল। অর্ডার ৭.৫% বেড়েছিল, যার কারণ সহজেই ব্যাখ্যা করা যায়: মার্কিন ভোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি হিসেবে মার্চেই ব্যয়বহুল পণ্য বেশি করে কিনে ফেলেছিল, যাতে এক মাস পরে দ্বিগুণ খরচ এড়ানো যায়। তবে এপ্রিল মাসে অর্ডারে ৭.৯% হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যার ফলে ডলারের সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
মঙ্গলবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি নিল কাশকারির বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, আগেও উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে মার্কেটে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তৃতাগুলোর কোনো প্রভাব পড়ছে না, কারণ ফেডের নীতিগত অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি ইতোমধ্যেই শতভাগ স্পষ্ট এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখন শুধুমাত্র "ট্রাম্প ফ্যাক্টর" এর ভিত্তিতে ট্রেড করছে। সাম্প্রতিক সময়ে FOMC-এর অনেক সদস্যই মুদ্রানীতির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তাই কাশকারির অবস্থান তাদের থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হবে — এমন সম্ভাবনা নেই।
আমরা আমাদের পূর্ববর্তী অবস্থানে অটল যে, বর্তমানে শুধুমাত্র বাণিজ্য যুদ্ধই মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। যদিও উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হচ্ছে, তবুও এই দ্বন্দ্ব এখনো চলছে। ট্রাম্প এখনো সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এই খবরগুলো ডলারকে খুব একটা সহায়তা করছে না। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন, বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, অথবা প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্যর্থ হন — তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি নতুন করে শুল্ক আরোপ ছাড়াও, মার্কেটে ট্রাম্প এবং তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব বিরাজ ডলার দুর্বল হতে পারে।
এ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে এবং ডলার যেকোনো কারণেই — কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই — দরপতনের শিকার হচ্ছে। অবশ্যই মাঝেমধ্যে কারেকশন দেখা যেতে পারে, তবে সামগ্রিক দিকনির্দেশনা ও বাজার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা উচিত হবে এবং ক্রয়ের বিকল্প প্রাধান্য দিয়ে কৌশল নির্ধারণ করা উচিত।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।