আরও দেখুন
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের অনেকটা নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3532 লেভেল টেস্ট করে — যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নেই।
গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা আস্থা সূচক প্রায় পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন স্তর থেকে হঠাৎ করে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ডলার শক্তিশালী হয় এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটে। মার্কেটের ট্রেডারদের চমকে দিয়ে এই সূচকের অপ্রত্যাশিত ঊর্ধ্বগতি — যা মার্কিন ভোক্তাদের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং স্বল্পমেয়াদি ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে — কারেন্সি মার্কেটে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলে। ডলারের দর পাউন্ডসহ বেশিরভাগ প্রধান মুদ্রার বিপরীতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এই ভোক্তা আস্থার ঊর্ধ্বগতির পেছনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। প্রথমত, শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা — যেখানে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং বেকারত্বের হার এখনও নিম্নমুখী। দ্বিতীয়ত, ধীরে হলেও মুদ্রাস্ফীতি কমছে, যা ভোক্তাদের মনে মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল হওয়ার আশা জাগিয়ে তুলছে।
আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত বিষয়াদির ডেপুটি গভর্নর ক্লেয়ার লম্বারডেলির বক্তৃতা ছাড়া আর কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। ফলে, GBP/USD পেয়ারের ওপর চাপ অব্যাহত থাকতে পারে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় স্পেকুলেটিভ মুভমেন্ট এবং টেকনিক্যাল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সুযোগ বাড়বে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মুদ্রানীতির ব্যাপারে ভবিষ্যতে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সে সম্পর্কে যেকোনো ইঙ্গিতের জন্য বিনিয়োগকারীরা লম্বারডেলির বক্তৃতার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখবে। যদি তার বক্তৃতায় আরও "ডোভিশ" বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে পাউন্ডের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3524-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3488-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3524-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংস হিসেবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3462-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3488 এবং 1.3524-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3462-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3423-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3488-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3462 এবং 1.3423-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।