আরও দেখুন
বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং বৃহস্পতিবারের শুরুর দিকে হঠাৎ করেই মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে নেমে যায়। আমরা ইউরোর নিবন্ধেও উল্লেখ করেছিলাম যে ডলারের মূল্যের এই তীব্র ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক কারণ ছিল না। টানা তিন দিন ধরে ডলারের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। অবশ্যই সবসময়ই টেকনিক্যাল কারেকশন হতে পারে, তবে গত তিন থেকে চার মাসে ট্রেডাররা ডলারের এমন মুভমেন্টের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি। বুধবার রাতে প্রকাশিত ফেডারেল রিজার্ভের মিনিটেও নতুন কোনো মৌলিক তথ্য ছিল না। তাই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কিন্তু এটা মনে রাখা জরুরি যে, এই সপ্তাহে মৌলিক প্রেক্ষাপটে কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে বেছে বেছে প্রতিক্রিয়া জানানোর মনোভাব এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে। মনে করিয়ে দিচ্ছি, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কেটের ট্রেডাররা একাধিকবার ডলারের পক্ষে থাকা ইতিবাচক মৌলিক উপাদানগুলোকে উপেক্ষা করেছে। কবে ট্রেডাররা পুরো মৌলিক চিত্রকে পুনরায় বিবেচনায় নেবে—সেই পূর্বাভাস দেওয়া অসম্ভব, বিশেষ করে যখন ট্রেডাররা কেবলমাত্র বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধসংক্রান্ত সংবাদকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বুধবার কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। একবার মূল্য 1.3443 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, এবং এটি ভালোই হয়েছে যে, তখন কোনো বাই সিগন্যাল তৈরি হয়নি—কারণ সারাদিন জুড়েই এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী ছিল। পরবর্তীতে রাতের দিকে মূল্য 1.3421–1.3443 জোনে কনসোলিডেট করে। ব্রিটিশ পাউন্ড আবারও ইউরোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে দুর্বল মাত্রায় দরপতনের শিকার হয়েছে, এবং টেকনিক্যাল কারণ ছাড়া ডলারের এই দর বৃদ্ধির পেছনে কোনো মৌলিক কারণ নেই।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি অত্যন্ত সংশয়ী অবস্থানে রয়েছে। শুল্ক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমনের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও, মার্কেটে এ নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো আশাবাদ নেই। গত কয়েক দিনে ডলারের দর কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এটি নিছক একটি টেকনিক্যাল কারেকশন বলেই মনে হচ্ছে। ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করার পরেও এটিকে ডলারের মূল্যের নতুন প্রবণতার সূচনা বলা ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
ট্রেন্ডলাইন ব্রেকের পর বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রাখতে পারে। তবে এর পেছনে কোনো মৌলিক প্রভাবক নেই। আমরা এখনো ডলারের এই দর বৃদ্ধি নিয়ে সন্দিহান অবস্থায় আছি, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে টেকনিক্যাল সিগন্যাল অনুসরণ করাই অধিক যুক্তিসংগত।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য পর্যবেক্ষণযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3421–1.3443, 1.3537, 1.3580–1.3592, 1.3652–1.3660, 1.3695। যুক্তরাজ্যে বৃহস্পতিবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, এবং যুক্তরাষ্ট্রে কেবলমাত্র প্রথম প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে। মনে রাখা জরুরি যে, মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনের প্রথম অনুমান উপেক্ষা করেছিল এবং দ্বিতীয় অনুমান সাধারণত সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।