আরও দেখুন
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধিতা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে, যা marrkin প্রেসিডেন্টের জন্য এক অপ্রত্যাশিত ধাক্কা হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতি তার অর্থনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠন এবং মার্কিন অর্থনীতিকে শিল্পভিত্তিক ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টাকে সীমিত করে দিতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি দিয়ে শুরু করি — যুক্তরাষ্ট্রের কোর্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ঘোষণা করেছে যে, কাস্টম শুল্ক আরোপ করে কার্যত বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছেন। আদালত এই পদক্ষেপগুলোকে "সবার জন্য অবৈধ" ঘোষণা করেছে — শুধু সেই পাঁচটি কোম্পানির জন্য নয় যারা প্রথম এই মামলা দায়ের করেছিল। এর ফলে, আদালত সমস্ত শুল্ক-সংক্রান্ত পদক্ষেপ সম্পূর্ণভাবে বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে।
এই রায় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ডে হঠাৎ ঊর্ধ্বগতি সৃষ্টি করেছে, যা দেশটির অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনার আশঙ্কা বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণার মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এটি স্পষ্ট করে যে, ট্রাম্প হাল ছাড়তে নারাজ।
"ডিপ স্টেট" নামে পরিচিত প্রশাসনিক কাঠামোর সঙ্গে প্রো-ট্রাম্প শক্তির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকায় ট্রেডারদের দৃষ্টি এখন ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর ও বাজেট প্যাকেজ নিয়ে সিনেট বিতর্কের দিকেও যাচ্ছে — যেখানে বড় ধরনের সংশোধনী আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, ফেডারেল রিজার্ভের সর্বশেষ মুদ্রানীতির বৈঠকের কার্যবিবরণীতে কোনো চমকপ্রদ তথ্য ছিল না। সেখানে আগের মতোই সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থান বজায় রাখা হয়েছে, বিশেষত মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে। ফেডের নীতিনির্ধারকরা একমত হয়েছেন যে, বর্তমান মৃদু কঠোর নীতির প্রেক্ষাপটে যদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও শ্রমবাজার স্থিতিশীল থাকে, তাহলে ফেড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আরও স্পষ্ট ধারণা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
ফরেক্স মার্কেটে মার্কিন ডলার সরাসরি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, যার ফলে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ICE ডলার সূচক 100-এর ওপরে উঠে গিয়েছিল। তবে, লাভ তুলে নেওয়া এবং আইনি অচলাবস্থার পাশাপাশি কর ও বাজেট বিতর্ক ঘিরে অনিশ্চয়তা ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম কিছুটা শ্লথ হয়েচ পড়েছে। এই অনিশ্চয়তার কারণে আবারও ডলার চাপের মুখে পড়তে পারে।
অন্যদিকে, স্টক মার্কেটের প্রতিক্রিয়া ছিল ইতিবাচক। ইকুইটি মার্কেট শুল্ক-পূর্ব অবস্থায় ফিরে যেতে মুখিয়ে রয়েছে, তাই যেকোনো খবর যা ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দেয় — তা শেয়ার কেনার আগ্রহ বাড়িয়ে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্টক সূচকের ফিউচার এবং ইউরোপীয় স্টক মার্কেটে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এই প্রবণতাকে সমর্থন করছে।
স্টক মার্কেট আজ উল্লেখযোগ্যভাবে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। গতকালের তীব্র প্রবৃদ্ধির পর ডলার স্বল্পমেয়াদি কারেকশনের মুখে পড়লেও, তার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবারও ফিরে আসতে পারে। এদিকে, ট্রাম্প এবং তার অভ্যন্তরীণ বিরোধীদের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের অগ্রগতির ওপর নজর রেখে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে সম্ভবত সাইডওয়েজ কনসোলিডেশন দেখা যাবে।
S&P 500 ফিউচারের CFD বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত এবং ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যকার আইনি দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেড করছে। শুল্ক আরোপ বিলম্বিত হলে বা তা বাতিল হলে ইকুইটির চাহিদা বাড়বে। এর ফলে, এই কন্ট্রাক্ট 6045.00 লেভেলের দিকে এগোতে পারে, যেখানে 5983.54 একটি সম্ভাব্য বাই এন্ট্রি পয়েন্ট।
নাসডাক 100 ফিউচারের CFD-ও ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে আদালতের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ট্রেড করছে। বাণিজ্যযুদ্ধের সমাপ্তি বা স্থগিত হলে শেয়ার কেনার চাহিদা বাড়বে, ফলে এই কন্ট্রাক্ট 22198.00 এর দিকে যেতে পারে, যেখানে 21767.50 একটি সম্ভাব্য বাই এন্ট্রি লেভেল হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।