আরও দেখুন
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3461-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণে, আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। মূল্য 1.3491 লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ারে ক্রয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যায়।
গতকালের মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায় বিশ্ববাজারে অপ্রত্যাশিত এবং দ্ব্যর্থবোধক বার্তা প্রদান করেছে। সাময়িকভাবে হলেও বাণিজ্য শুল্ক পুনর্বহালের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বাণিজ্যযুদ্ধ আবারও চরম আকার ধারণ করতে পারে এই আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা পোর্টফোলিও পুনর্মূল্যায়ন শুরু করে, যার ফলে মার্কিন অ্যাসেট থেকে মূলধন অপসারণ ঘটে এবং ডলারের দরপতন শুরু হয়। এই পদক্ষেপ মার্কিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতের স্বতন্ত্রতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং নির্বাহী শাখার বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের একটি নজির তৈরি করে। নিঃসন্দেহে বাণিজ্য শুল্ক ঘিরে আইনি লড়াই অব্যাহত থাকবে, এবং এই দ্বন্দ্বের ফলাফল মার্কিন ও বৈশ্বিক উভয় অর্থনীতির ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।
যেহেতু আজ যুক্তরাজ্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই এবং আজ মে মাসের শেষ দিনের ট্রেডিং, তাই মাসিক সর্বোচ্চ লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়ার সম্ভাবনা বা পাউন্ডের মূল্যের বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা খুবই কম। বরং, আগে থেকে ওপেন করা লং পজিশন থেকে কিছু প্রফিট বুকিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যা একটি সামান্য নিম্নমুখী কারেকশন শুরু করতে পারে। তবে, ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনো তুলনামূলকভাবে সহায়ক। যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি কমছে, যা ব্যবসা ও গৃহস্থালির জন্য ইতিবাচক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3530-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3488-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3530-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3461-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3488 এবং 1.3530-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3461-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3416 -এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3488-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3461 এবং 1.3416-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।