আরও দেখুন
মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের সামান্য দরপতন হয়েছে, যা সম্ভবত শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কারণেই ঘটেছে। এমনকি ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমেও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য খুব অনিচ্ছার সঙ্গেই নিম্নমুখী হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোর মূল্যের অন্তত মাঝে মাঝে কারেকশন হয়, কিন্তু ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের কার্যত কোনো কারেকশন ছাড়াই মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক JOLTs প্রতিবেদনও ডলারের হতাশাজনক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি ঘটাতে যথেষ্ট নয়। আমাদের ধারণা, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে এবং এর কোনো বিকল্প নেই—যদিও মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেট করেছে। বর্তমানে, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোনো শক্তিশালী মৌলিক সহায়ক উপাদান নেই। ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক আদালতে বাতিল করা যায়নি এবং আজ থেকে তিনি স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের আমদানির ওপর নতুন করে শুল্ক বৃদ্ধি করছেন। চীন, অ্যাপল এবং আরও কয়েকটি কোম্পানিকে কেন্দ্র করে তার দেয়া বক্তব্যগুলো নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধের মাত্রা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মঙ্গলবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.3518 লেভেল ঘিরে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। তবে দিনের বেশিরভাগ সময়ই এই পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, যার ফলে অনেকগুলো ভুল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে যখন যুক্তরাষ্ট্রে JOLTs-এর প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হয়, তখন ডলারের দর প্রায় ২০ পিপস বৃদ্ধি পায়, কিন্তু পরবর্তী আধা ঘণ্টার মধ্যেই ডলার ৪০ পিপস দরপতনের শিকার হয়। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে ডলার কিনতে মোটেই ইচ্ছুক নয়।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখন পুরোপুরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকলাপের উপর নির্ভরশীল রয়েছে এবং তার গৃহীত নীতিগুলোর প্রতি ট্রেডারদের মধ্যে গভীর অনিশ্চয়তা বজায় রয়েছে। যদিও বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তবুও মার্কেটের ট্রেডাররা কোনো ধরনের আশাবাদ অনুভব করছে না, বরং নতুন করে উত্তেজনা বাড়ার লক্ষণই বেশি বলে মনে হচ্ছে। গত সপ্তাহে ডলার কিছুটা শক্তিশালী হয়েছিল, কিন্তু তা কেবলমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন ছিল। ডলারের মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে হলে বাণিজ্যযুদ্ধ সম্পর্কিত ইতিবাচক খবর প্রয়োজন—যা বর্তমানে খুবই সীমিত পরিমাণে রয়েছে।
বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আবার নিম্নমুখী হতে পারে, বিশেষ করে যেহেতু ট্রেন্ডলাইন ইতোমধ্যে ব্রেক করা হয়েছে। তবে, এরকম মুভমেন্টের পক্ষে খুব বেশি মৌলিক কারণ নেই। আমরা এখনো ডলারের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনার ব্যাপারে সন্দিহান এবং তাই এখন টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করেই ট্রেড করাই উত্তম।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হলো: 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3421–1.3443, 1.3518, 1.3580–1.3592, 1.3652–1.3660, 1.3695।
বুধবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচক এবং যুক্তরাষ্ট্রে ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। আমাদের মতে, ISM পরিষেবা PMI প্রতিবেদনের ফলাফল ট্রেডারদের কাছ থেকে সর্বাধিক আগ্রহ আকর্ষণ করবে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।