আরও দেখুন
সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। এই পেয়ারের মূল্য আরও একটি অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করলেও সেটি মার্কিন ডলারের জন্য কোনো ইতিবাচক ফল আনেনি, যা এখনো ধারাবাহিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং মধ্যমেয়াদে ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখন একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, যেখান থেকে মূল্য ইতোমধ্যে তিনবার বাউন্স করেছে। আজ চতুর্থবারের মতো একটি রিবাউন্ড দেখা যেতে পারে এবং এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সূচনা করতে পারে।
ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেশন মার্কিন ডলারের জন্য খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না, কারণ যেকোনো টেকনিক্যাল প্যাটার্ন গঠিত হোক না কেন, যদি মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার কেনার আগ্রহ না দেখায়, তাহলে এটি শক্তিশালী হবে না। মার্কেটের ট্রেডাররা প্রধানত ডলারের শর্ট পজিশন থেকে মুনাফা করে থাকে, যার ফলে মাঝে মাঝে ডলারের মূল্যের ছোটখাটো রিবাউন্ড দেখা যায়। কিন্তু ডলারের ব্যাপারে এখন এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যাচ্ছে না। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সামরিক উত্তেজনাও মার্কিন গ্রীনব্যাককে সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে—যদিও এক সময় ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সময় ডলার নিয়মিতভাবে শক্তিশালী হতো।
৫ মিনিটের চার্টে, সোমবার দুটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। প্রথমে এই পেয়ারের মূল্য 1.3535 লেভেল থেকে নির্ভুলভাবে বাউন্স করে এবং পরে কিছুটা দৃঢ়ভাবে 1.3580–1.3592 এরিয়ার রেজিস্ট্যান্স অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। সন্ধ্যার দিকে একটি নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়, যা আজ শেষ হতে পারে, তবে নতুন ট্রেডারদের কাছে লং পজিশন মুনাফার সাথে ক্লোজ করার যথেষ্ট সময় ও সুযোগ ছিল।
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি ট্রেডারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। আগের মতোই, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো প্রতিটি সুযোগে ডলার বিক্রি করছে, কিনছে না। এই পরিস্থিতি চলতে থাকবে যতদিন না মার্কেটে বাণিজ্য যুদ্ধের অবসানের বাস্তব কোনো ইঙ্গিত আসে এবং ট্রাম্প তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া বন্ধ করেন। এমনকি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনার বৃদ্ধি ডলারকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য সহায়তা দিতে পেরেছে।
মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ ডলারের দরপতনের জন্য সব সময় নির্দিষ্ট কোনো কারণের প্রয়োজন পড়ে না। টেকনিক্যাল কারেকশনের সম্ভাবনা বাদ দিলে, আমরা এমন কোনো দৃশ্যমান কারণ দেখছি না যা মার্কিন মুদ্রাকে যথার্থভাবে সহায়তা দিতে পারে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3421–1.3443, 1.3518–1.3535, 1.3580–1.3592, 1.3643–1.3652, 1.3695, 1.3740। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বা শিল্প উৎপাদন এবং রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল তুলনামূলকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের বিশ্বাস মার্কেটের ট্রেডাররা প্রধানত মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাপ্রবাহ এবং ট্রাম্পের বিবৃতির দিকেই মনোযোগী থাকবে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।