আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল ঠিক তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3595 এর লেভেল টেস্ট করে, যা পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি নিশ্চিত করে এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 20 পিপস বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় দিনের দ্বিতীয়ার্ধে পাউন্ডের মূল্যের বড় কোনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়নি। তবে সেশন শেষে স্পষ্টভাবেই GBP/USD পেয়ারের ওপর চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। সম্ভবত, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাই এখানে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। টেকনিক্যাল দিক থেকে দেখলে, গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করে যাওয়াও বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনা বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে।
আজ যুক্তরাজ্য থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, যা ট্রেডিং সেশনের প্রথমার্ধে পাউন্ডের কিছুটা শক্তিশালী হওয়ার আরেকটি সুযোগ এনে দিতে পারে। তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, সামষ্টিক ও মৌলিক সংবাদের অনুপস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের নিশ্চয়তা দেয় না। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন ডলারের দরপতন বা অন্য কোনো অঞ্চলের ইতিবাচক অগ্রগতির কারণে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের কারণের অতিরিক্ত ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম দেখা যেতে পারে, যেমন—মূল রেজিস্ট্যান্স লেভেলের ব্রেকআউট ঘটা। সামগ্রিকভাবে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে যাচ্ছে, তবে বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে হলে এই পেয়ারের মূল্যকে অবশ্যই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স জোন অতিক্রম করতে হবে। এই রেজিস্ট্যান্স জোনগুলোর সফল ব্রেকআউট পরবর্তীতে মুনাফা করার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে দিতে পারে; অন্যথায় মূল্যের কনসোলিডেশন হতে পারে বা কারেকশন দেখা যেতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3634-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3583-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3634-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3559-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3583 এবং 1.3634-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3559-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3511-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3583-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3559 এবং 1.3511-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।