আরও দেখুন
সম্পদ এবং বাজার মূলধনের দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ব্যাংক জেপিমরগ্যান চেজ অ্যান্ড কোং JPMD নামক একটি নতুন ব্লকচেইন-ভিত্তিক অ্যাসেটের ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করেছে। এই পদক্ষেপকে ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে যে এটি একটি সম্ভাব্য স্টেবলকয়েন প্রজেক্টের অংশ হতে পারে।
আবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এটি ইতোমধ্যেই ইউএস পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিস কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। ট্রেডমার্ক আবেদনটিতে ডিজিটাল অ্যাসেট ট্রেডিং, এক্সচেঞ্জ, ট্রান্সফার এবং পেমেন্ট সার্ভিসের একটি সিস্টেমের বর্ণনা রয়েছে। পাশাপাশি এতে ব্লকচেইন-ভিত্তিক অ্যাসেট ইস্যু, ব্রোকারেজ সার্ভিস এবং ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার ফিচারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যদিও আবেদনটিতে "স্টেবলকয়েন" শব্দটি সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, তাতে অন্তর্ভুক্ত "গুডস/সার্ভিসেস"-এর বিস্তৃত পরিসর ডিজিটাল অ্যাসেট ইকোসিস্টেমের প্রায় প্রতিটি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে—ক্লিয়ারিং থেকে ডেটা ট্রান্সফার পর্যন্ত। উল্লেখযোগ্যভাবে, আবেদনটিতে ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঋণ নিষ্পত্তি ও ব্রোকারেজ সার্ভিসের কথা বলা হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় এটি বাস্তব জগতের অ্যাসেট সেক্টরের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
জেপিমরগ্যান চেজ অ্যান্ড কোং এখনো JPMD সংক্রান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে এই খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এটি ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাসেট খাতে সম্প্রসারণ পরিকল্পনার অংশ হতে পারে। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটি পূর্বে JPM কয়েন চালু করেছিল, যা কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের মধ্যে হোলসেল পেমেন্টের জন্য ডিজাইন করা একটি ডিজিটাল টোকেন।
JPMD-এর আবেদন সম্ভবত নির্দেশ করছে যে জেপিমরগ্যান চেজ অ্যান্ড কোং এখন প্রাতিষ্ঠানিক এবং খুচরা গ্রাহক লক্ষ্য করে ব্লকচেইন সলিউশনের আরও বিস্তৃত পরিসর উন্নয়ন করতে চাচ্ছে। স্টেবলকয়েন, যেগুলো সাধারণত মার্কিন ডলার বা অনুরূপ স্থিতিশীল অ্যাসেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, এখন দ্রুত ও কম খরচে ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। JPMD যদি একটি স্টেবলকয়েনে রূপ নেয়, তবে ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে জেপিমরগ্যান চেজ অ্যান্ড কোং-এর অবস্থান ও প্রভাবের কারণে এটি ডিজিটাল পেমেন্টের খাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে।
তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ট্রেডমার্ক আবেদন দাখিল মানেই প্রোডাক্ট চালু করা নয়। অনেক প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের জন্য আগাম ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করে। তবুও জেপিমরগ্যান চেজ অ্যান্ড কোং-এর এই পদক্ষেপটি নজরকাড়া এবং প্রমাণ করে যে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ক্রমেই ঐতিহ্যবাহী আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত হচ্ছে।
এটাও উল্লেখযোগ্য যে এটিই ক্রিপ্টো খাতে জেপিমরগ্যান চেজ অ্যান্ড কোং-এর প্রথম উদ্যোগ নয়। প্রতিষ্ঠানটি ইথেরিয়ামের অনুমোদনপ্রাপ্ত ফর্ক—কাইনেক্সিস (পূর্বে অনিক্স নামে পরিচিত)—এর মাধ্যমে ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা শুরু করেছিল। JPM কয়েন, এখন কাইনেক্সিস ডিজিটাল পেমেন্টস নামে রিব্র্যান্ড করা হয়েছে, এটি একটি বিশেষায়িত স্টেবলকয়েন যা মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড অথবা ইউরোর সঙ্গে 1:1 অনুপাতে সংযুক্ত। কাইনেক্সিস তৈরি করা হয়েছে ইন্টারব্যাংক, ইনট্রাব্যাংক ও আন্তর্জাতিক লেনদেনের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এবং এ পর্যন্ত $1.5 ট্রিলিয়নেরও বেশি লেনদেন সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে।
ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
বিটকয়েন – টেকনিক্যাল পূর্বাভাস:
বর্তমানে ক্রেতারা বিটকয়েনের মূল্যকে $107,400 লেভেলে পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা মূল্যকে সরাসরি $108,100 এবং তারপরে $108,700 লেভেল পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে $109,700-এর কাছাকাছি লেভেলে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লেভেল ব্রেকআউট করা হলে সেটি মার্কেটে বুলিশ প্রবণতা পুনরায় শক্তিশালী হওয়ার সংকেত দেবে। পুলব্যাক হলে ক্রেতাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকবে $106,800 এর লেভেল। এই জোন ব্রেক করা হলে BTC-এর মূল্য দ্রুত $106,300 এবং $105,700-এ নেমে যেতে পারে।
ইথেরিয়াম – টেকনিক্যাল পূর্বাভাস:
ইথেরিয়ামের মূল্য $2,607 এর উপরে স্থিতিশীল হলে এটির মূল্য পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা $2,647 এবং সেখান থেকে $2,682-এ পৌঁছাতে পারে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে ক্রেতাদের মধ্যে ইথেরিয়াম ক্রয়ের আগ্রহ আবার বেড়ে যাবে। দরপতনের ক্ষেত্রে ক্রেতারা $2,568 লেভেলে অপেক্ষা করবে। এই এরিয়াটি ব্রেক করা হলে ETH-এর মূল্য $2,541 ও পরবর্তীতে $2,509-এ নেমে যেতে পারে।
চার্টে যা দেখা যাচ্ছে:
লাল লেভেল: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স জোন যেখানে মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যেতে পারে বা তীব্র মুভমেন্ট শুরু হতে পারে।
সবুজ লাইন: 50-দিনের সিম্পল মুভিং অ্যাভারেজ।
নীল লাইন: 100-দিনের সিম্পল মুভিং অ্যাভারেজ।
হালকা সবুজ লাইন: 200-দিনের সিম্পল মুভিং অ্যাভারেজ।
এই মুভিং অ্যাভারেজগুলোর ক্রসিং বা টেস্টিং মার্কেটের মুভমেন্ট হয় থামিয়ে দেয়, নয়তো নতুন মোমেন্টাম শুরু করে।