empty
 
 
20.06.2025 09:14 AM
২০ জুন কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়ে আরও দরপতনের প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়েছিল, তবে তখনই ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থেমে যায়। আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী হওয়ার আশা করা উচিত নয়। বলা যায়, এই সপ্তাহে ডলারের যতটুকু মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিল, তা ইতোমধ্যেই বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানে ভয়ঙ্কর হামলার সম্ভাবনা এবং ফেডারেল রিজার্ভের "মধ্যম মাত্রার হকিশ বা কঠোর" অবস্থানের খবরের প্রভাবে ডলার শক্তিশালী হয়েছিল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেডাররা আবারও মনে করিয়ে দেয় যে, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ট্রাম্পের বৈশ্বিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের বিতর্কিত ও সুরক্ষাবাদী সিদ্ধান্তগুলোই এখনো মূল উদ্বেগের বিষয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যেই আবার ডলারের দরপতন শুরু হয়, যা সারা রাত ধরে চলমান থাকে, যদিও এর পেছনে তেমন কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছিল না। ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনটি ইতোমধ্যে ব্রেক করা হয়েছে, এবং এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা প্রকৃত অর্থে শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার দুটি আনুষ্ঠানিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ভোর ৫–৬টার মধ্যে, 1.1474–1.1481 এরিয়ার মধ্যে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত করেছিল, তবে এই পেয়ারের মূল্য 15 পিপসের বেশি মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়—এমনকি সেই পরিমাণ মুভমেন্টও বেশ কষ্ট করে অর্জিত হয়েছিল। পরে, একই এরিয়ায় একটি বাই সিগন্যাল দেখা দেয়, যা একটি ভালো মুনাফা দিতে পারত, কারণ ঠিক তখন থেকেই ডলারের দরপতনের পরবর্তী ধাপ শুরু হয়। তবে এই সিগন্যালটি ট্রেডিং সেশনের বেশ দেরিতে গঠিত হয়, ফলে সব ট্রেডার এটিকে কাজে লাগাতে পারেননি।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছিল এবং সম্ভবত পরবর্তী প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। বাস্তবিক অর্থে, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট—এই একটি কারণই যেন মার্কিন ডলারের নিয়মিত দরপতনের জন্য যথেষ্ট। এমনকি ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার বৃদ্ধিও মার্কিন ডলারের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখনো হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন, আল্টিমেটাম দিচ্ছেন, শুল্ক বাড়াচ্ছেন, এমনকি তিনি ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত বলেও মনে হচ্ছে। সুতরাং, ট্রেডাররা প্রতিদিন ডলার বিক্রি না করলেও, মাঝারি মেয়াদে তারা এটি কেনার প্রতি কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

শুক্রবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে এবং ডলারকে সমর্থনকারী সকল কারণ এখন মূল্যে প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1704, 1.1802। শুক্রবার ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বা অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই দিনের বাকি অংশে আবারও এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের পরবর্তী উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা পরবর্তী সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.