আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠা শুরু করছিল, ঠিক তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3439 এর লেভেল টেস্ট করে, যা পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এরপর এই পেয়ারের মূল্যের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট তৈরি হয়নি।
ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (BoE) সুদের হার 4.25% এ অপরিবর্তিত রেখেছে। তবে, নীতিনির্ধারকরা যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ব্যাংকটির এই সিদ্ধান্ত পূর্বাভাস অনুযায়ীই এসেছে এবং এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি এড়ানোর মধ্যকার ভারসাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে। সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে পূর্ববর্তী হ্রাসের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য সময় নেওয়া সম্ভব হবে এবং একাধিক নেতিবাচক প্রভাবের মুখে থাকা অর্থনীতির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি এড়ানো যাবে। যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষভাবে শ্রমবাজারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রবণতা ভবিষ্যতে গভীর অর্থনৈতিক সংকটের পূর্বাভাস দিতে পারে। দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ। এর পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে আরও নেতিবাচক করছে। নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বৈশ্বিক অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং যুক্তরাজ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
আজ যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় পরিমাণে পরিবর্তন (জ্বালানি ব্যয়সহ) এবং সরকারি খাতের নিট ঋণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে, বিশেষত চলমান মূল্যস্ফীতি ও মন্দার আশঙ্কার মধ্যে। জ্বালানি সমন্বিত খুচরা বিক্রয়ের পরিমাণ ভোক্তাদের কার্যক্রম প্রতিফলিত করে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালক। এই সূচকের পতন ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের ইঙ্গিত দিতে পারে, যার পেছনের কারণ হিসেবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকতে পারে। এদিকে, সরকারি খাতের নিট ঋণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকার তার ব্যয় কী পরিমাণে ঋণের মাধ্যমে পরিচালনা করছে সে সম্পর্কে ধারণা দেবে। ঋণের পরিমাণ বেশি হলে তা অর্থনীতিকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারী ব্যয় বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে, তবে একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে সরকারি অর্থায়নের টেকসইতা নিয়ে উদ্বেগও তৈরি করতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3552-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3501-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3552-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3477-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3501 এবং 1.3552-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3477-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3437-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3501-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3477 এবং 1.3437-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।