empty
 
 
26.06.2025 07:34 AM
২৬ জুন কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার দিনভর স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হয়েছে এবং মূল্যের কোনো নির্দিষ্ট দিকেই অগ্রসর হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে দিনের শেষ দিকে মার্কেটে আবার সক্রিয় মুভমেন্ট দেখা যায়, এবং ট্রেডাররা আগের মতোই আগ্রাসীভাবে ডলার বিক্রি শুরু করে। আমরা বহুবার বলেছি, বর্তমানে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার জন্য মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কোনো প্রেক্ষাপটের প্রয়োজন নেই। যেকোনো সময় মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটতে পারে শুধু এই কারণে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এটিই মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে প্রধান কারণ, এবং এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের সব কার্যক্রম এবং সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র ডলারের দরপতন ঘটিয়েছে।

মার্কিন কারেন্সির দরপতন সব সময় অর্থনীতির জন্য খারাপ নয় বা এর ভবিষ্যতের জন্য নেতিবাচক কিছু বোঝায় না। তবে ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালা ধারাবাহিকভাবে ডলারের দরপতন ডেকে আনছে। আমাদের আগ্রহের বিষয় হলো—এরপর ডলারের মূল্য কোথায় যাবে?

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার রাতে একাধিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। শুধুমাত্র 1.1609 লেভেলেই পাঁচটি সিগন্যাল গঠিত হয়। এর মধ্যে চারটি সেল সিগন্যাল একে অপরের পুনরাবৃত্তি ছিল, যার ফলে একটি শর্ট পজিশন ওপেন করা হয় এবং সেটি লোকসানের সাথে ক্লোজ হয়। এরপর একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়, যা শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সূচনা করে এবং তা 1.1704 লেভেলের আশেপাশে শেষ হয়। এর ফলে, স্পষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই ডলার হঠাৎ আরও 100 পিপস দরপতনের শিকার হয়।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, যা ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছে এবং সম্ভবত পরবর্তী প্রেসিডেন্ট আসার পর শেষ হবে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিই ডলারের নিয়মিত দরপতন অব্যাহত থাকার জন্য যথেষ্ট। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো খবর না এলেও সেটি ডলারের মূল্যের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারছে না।

বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্য আরও বেড়ে যেতে পারে, কেবল এই কারণে যে চলমান প্রবণতার পক্ষে কোনো আলাদা ব্যাখ্যার দরকার নেই। আজও সম্ভবত শান্ত মুভমেন্ট দেখা যাবে, তাই টেকনিক্যাল সিগন্যালের ভিত্তিতেই ট্রেড করা যেতে পারে।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1700, 1.1802, 1.1851। বুধবারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে মার্কিন জিডিপি এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। কিন্তু এসবেরই বা কী প্রভাব পড়তে পারে, যদি কোনো দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই গত ১২ ঘণ্টায় ডলার প্রায় 100 পিপস দরপতনের শিকার হয়?

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.