আরও দেখুন
শুক্রবার তুলনামূলকভাবে খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। কিছু বিশ্লেষক PCE সূচককে "গুরুত্বপূর্ণ" এবং "ফেডের প্রিয় সূচক" হিসেবে অভিহিত করলেও আমরা সে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করি না। ভোক্তা মূল্য সূচকই সাধারণত মুদ্রাস্ফীতির মাত্রা ও প্রবণতা নির্ধারণে যথেষ্ট। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, কারণ জেরোম পাওয়েলের বেশ কয়েকটি বক্তব্যে ইতোমধ্যেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মার্কিন জনগণের ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো মূলত আনুষ্ঠানিক ধরনের এবং এগুলোর প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক আগ্রহজনক প্রতিবেদন হলেও, এটি কেবল তখনই কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে যদি প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়।
শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাবৃন্দ—বেথ হ্যাম্যাক, লিসা কুক এবং জন উইলিয়ামসের বক্তৃতাগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে, আমাদের ধারণা অনুযায়ী, এই সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসে পাওয়েলের বক্তব্যের পর ফেডের মুদ্রানীতি নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন অবশিষ্ট নেই। এবং ডলারের এক্সচেঞ্জ রেটে উপর এর প্রভাব নিয়েও খুব বেশি অনিশ্চয়তা নেই। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বিপরীতে, ফেড যেখানে সুদের হার 4.5%-এ ধরে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে, সেক্ষেত্রেও ডলার অব্যাহতভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে।
মার্কেটে এখনো বাণিজ্যযুদ্ধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এবং এর নিষ্পত্তি বা সমাপ্তির কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। খুব শিগগিরই পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য কোনো দেশের সাথে একটিও বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হননি। তার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হলেও বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো চলমান রয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই জানতে পারব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবে কি না। আগামী কয়েক সপ্তাহে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাও অনেক বেশি।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।