আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3714-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মে মাসের কোর পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচক অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের তুলনায় সামান্য বেশি এসেছে, যা মাত্র 0.2% বেড়েছে। যার ফলে গত শুক্রবার ডলার খুব একটা উল্লেখযোগ্য সহায়তা পায়নি।
আজ ট্রেডাররা ব্রিটিশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার দিকে দৃষ্টি দেবে। দেশটির প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হলে সেটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সংকেত হবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতাকে নিশ্চিত করবে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের কঠোর আর্থিক নীতিমালার প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুর্বলতা উচ্চ সুদের হার বজায় রাখার সক্ষমতাকে সীমিত করতে পারে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছে ব্রিটিশ পাউন্ডের আকর্ষণ কমে যাবে।
জিডিপি প্রতিবেদনের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। বাণিজ্য ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পেলে সেটি পাউন্ডের ওপর চাপ আরও বাড়াতে পারে, কারণ এটি আমদানির জন্য বৈদেশিক মুদ্রার অধিক চাহিদা প্রতিফলিত করে। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, যাতে বোঝা যায় ব্রিটিশ অর্থনীতি বহিরাগত ঝুঁকির বিপরীতে কতটা স্থিতিশীল। GBP/USD পেয়ারের এক্সচেঞ্জ রেটে এই সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রভাব সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করবে প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাস থেকে কতটা বিচ্যুত হয় তার ওপর। উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটলে পাউন্ডের তীব্র বিক্রয়ের চাপ সৃষ্টি হতে পারে, তবে সামান্য বিচ্যুতির বিষয়টি হয়তো আগেই মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3799-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3755-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3799-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ চলমান প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে, তবে শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3720-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3755 এবং 1.3799-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3720-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3664-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে উপরে দিকে যাওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3755-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3720 এবং 1.3664-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।