আরও দেখুন
সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এটি সম্ভবত অবাক করার মতো কিছু নয়, যদিও দিনের সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইউরোর দর বৃদ্ধির পরিবর্তে দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি ছিল। জার্মানিতে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক 2%-এ নেমে এসেছে, যা প্রত্যাশার বিপরীত ফলাফল, এবং রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় ট্রেডারদের পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি পরিমাণে কমেছে। তবুও, দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য একটি শক্তিশালী সাইডওয়েজ রেঞ্জে আটকে ছিল এবং দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয় যা পরবর্তীতে বজায় ছিল। এটি আবারও প্রমাণ করে যে, মার্কেটে বর্তমানে কেউই কোনো পরিস্থিতিতেই ডলার কিনতে আগ্রহী নয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডলারের দরপতনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বা স্থানীয় কারণের প্রয়োজন নেই। গতকাল নতুন করে ডলার বিক্রির জন্য কোনো উদ্দীপক ছিল না, তবে আসল কারণ গত পাঁচ মাস ধরেই বিদ্যমান—ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিই দরপতনের জন্য যথেষ্ট।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় সেশনের সময়, মূল্য 1.1740–1.1745 এরিয়ায় বাউন্স করেছিল, তবে মার্কেট ফ্ল্যাট অবস্থার মধ্যে থাকায় এই পেয়ারের মূল্য মাত্র ২০ পিপস হ্রাস পেয়েছিল। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1740–1.1745 এরিয়া ব্রেক করে উপরের দিকে উঠে যায়, যা নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করে। আজ সকালে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1802 এর নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে।
১-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছিল এবং সম্ভবত পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধীনেও এটি চলমান থাকবে। ডলারের স্থিতিশীল দরপতনের মূল কারণ হলো, ট্রাম্প এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি ট্রাম্প সম্পর্কিত কোনো নতুন সংবাদ না থাকলেও, এই তথ্যটিই ডলারের দরপতন ঘটানোর জন্য যথেষ্ট। বাণিজ্য যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি, এবং ট্রাম্প ও ফেডারেল রিজার্ভের মধ্যকার দ্বন্দ্ব—সবই ডলারের উপর আস্থা কমিয়ে দিয়েছে—এবং এর বাইরে আর কোনো কারণের প্রয়োজন নেই।
মঙ্গলবার, সম্ভবত EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এটি ঘটতে হলে, কেবলমাত্র এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1800-এর লেভেল ব্রেক করে উপরের দিকে যাওয়া প্রয়োজন।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1802, 1.1851, 1.1908।
মঙ্গলবার, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং সেইসাথে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রতিবেদন প্রকাশেরও কথা রয়েছে। ইউরোজোনে একাধিক মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনও থাকবে। এছাড়া, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ভাষণ দেবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ISM ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।