আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1778-এর লেভেল টেস্ট করেছিল। তবুও, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক ভালো এসেছিল, যার ফলে এই পেয়ার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি হয়। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.1724 এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নেমে যায়। সেই লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে এই পেয়ার ক্রয় করার ফলে মার্কেট থেকে অতিরিক্ত 30 পিপস মুনাফা করা সম্ভব হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার 4.1%-এ কমে যাওয়ার পাশাপাশি, ননফার্ম পেরোল সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়েও ইতিবাচক আসায়, মার্কেটে আবারও মার্কিন ডলারের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিতে উৎসাহিত হয়ে বিনিয়োগকারীরা ঐতিহ্যগত ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট বিক্রি করে ডলারে মূলধন স্থানান্তর করা শুরু করে। শ্রমবাজার পরিসংখ্যানের এই ইতিবাচক ফলাফল স্বল্পমেয়াদে ডলারের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে, যেহেতু ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হারে পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে "অপেক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের" নীতিই ধরে রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ ইউরোজোনের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন এবং ভোক্তা ব্যয়সংক্রান্ত সূচকগুলোর দিকে দৃষ্টি থাকবে। প্রথমেই জার্মানি ও ফ্রান্সের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা শিল্পপণ্যের চাহাবাহার পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটায় — এটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এরপর প্রকাশিত হবে ইতালির খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান, যা ভোক্তা কার্যক্রমের ইঙ্গিত দেয় এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। সকালের সেশন শেষ হবে ইউরোজোনের উৎপাদন মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশের মাধ্যমে, যা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদিত পণ্যের মূল্যের পরিবর্তন তুলে ধরে এবং মূল্যস্ফীতি সূচকের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত হয়।
ইউরোজোনের উৎপাদক মূল্য সূচক বৃদ্ধি পেলে সেটি ভবিষ্যতে ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সামগ্রিকভাবে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে এবং বাহ্যিক চ্যালেঞ্জের প্রতি এর সহনশীলতার মূল্যায়নে সহায়ক হবে। ফলাফলসমূহ ইউরোর বিনিময় হারকে প্রভাবিত করতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকেই মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1822-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1787-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1822-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1765-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1787 এবং 1.1822-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1765-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1728-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1787-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1765 এবং 1.1728-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।