আরও দেখুন
মাত্র গতকাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে তার প্রশাসন শুক্রবার থেকে বাণিজ্য অংশীদারদের কাছে চিঠি পাঠানো শুরু করবে, যেখানে একতরফাভাবে নির্ধারিত শুল্ক হার সম্পর্কে অবহিত করা হবে, যা তার মতে দেশগুলোকে ১ আগস্ট থেকে পরিশোধ করতে হবে।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন যে আজ প্রায় ১২টি প্রধান অংশীদার দেশের কাছে চিঠি পাঠানো হবে, বাকি চিঠিগুলো পরবর্তী কয়েকদিনে পাঠানো হবে। ট্রাম্প বলেন, "আমি মনে করি ৯ তারিখের মধ্যে সবগুলো চিঠি পাঠানো হয়ে যাবে," যেখানে তিনি ৯ জুলাইয়ের কথা বলছিলেন, যেটি তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে দেশগুলোকে দেওয়া সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন। তিনি বলেন, "শুল্ক হার ১০% থেকে ৭০% পর্যন্ত হতে পারে।"
যদি এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়, তাহলে এপ্রিলের শুরুতে "শুল্ক ছাড়" ঘোষণার সময় প্রেসিডেন্ট কর্তৃক উল্লিখিত যেকোনো শুল্ক হারের চেয়েও বেশি হবে। সেসময় অধিকাংশ দেশের জন্য ভিত্তি শুল্ক হার ছিল ১০%, এবং সর্বোচ্চ হার ছিল ৫০%। ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে বলেননি কোন দেশগুলো কোন হারে শুল্কের আওতায় পড়বে কিংবা কোন পণ্যগুলোর ওপর বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, ট্রাম্প বারবার হুমকি দিয়েছেন যে যারা আগামী সপ্তাহের সময়সীমার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে, তাদের ওপর সর্বোচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রথমবার ২ এপ্রিল তথাকথিত পারস্পরিক শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন, কিন্তু আলোচনার সুযোগ দিতে পরে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন, যেসময় ১০% শুল্ক হার প্রযোজ্য ছিল। এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে এবং চীনের সঙ্গেও একটি চুক্তি পৌঁছেছে, যার অধীনে দুই বৃহৎ অর্থনীতি পারস্পরিক শুল্ক কমিয়েছে।
বৃহস্পতিবার আরও চুক্তি করা হবে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, "আমাদের হাতে আরও কিছু চুক্তি আছে, কিন্তু জানেন তো, আমি বেশি ঝামেলা না করে চিঠি পাঠানোর দিকেই ঝুঁকছি এবং তাদের বলে দিচ্ছি তারা কোন কোন শুল্ক দেবে। এটা অনেক সহজ।"
এই সপ্তাহে, ট্রাম্প বুধবার ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি চুক্তির ঘোষণা দেন, যেখানে বলা হয় যে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনাম থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২০% এবং সেইসব পণ্যের ওপর ৪০% শুল্ক আরোপ করবে যেগুলো দেশটির মাধ্যমে রপ্তানি করা হয় বলে বিবেচিত হয়।
তবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো অনেক বড় বাণিজ্য অংশীদার এখনো চুক্তির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আশাবাদী মন্তব্য করলেও জাপানকে নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন, টোকিওকে একটি "কঠিন অংশীদার" হিসেবে আখ্যা দেন। এই সপ্তাহে, তিনি সেই সমালোচনার মাত্রা বাড়িয়ে বলেন, "জাপানকে ৩৫% শুল্ক দিতে বাধ্য করা উচিত।"
মঙ্গলবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন যে তিনি আগামী সপ্তাহের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ভাবছেন না। তবে, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট গতকাল বলেন যে ট্রাম্পই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বেসেন্ট বলেন, "প্রেসিডেন্ট যা চান, আমরা সেটাই করব, এবং আলোচনাগুলো সদিচ্ছায় হচ্ছে কিনা বা এখনই বিষয়টি বন্ধ করা উচিত কিনা—সেটা সিদ্ধান্ত তার ওপর নির্ভর করছে।"
EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের অবশ্যই এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1790 লেভেলের ওপরে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই তারা 1.1825 লেভেল টেস্ট করার লক্ষ্যে এগোতে পারবে। আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে 1.1866 পর্যন্ত মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন না পেলে মূল্যের এই লেভেলে পৌঁছানো কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1910-এর লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে আমি কেবল 1.1750 লেভেলের কাছে ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার আশা করছি। যদি সেখানে ক্রেতাদের কোনো আগ্রহ না দেখা যায়, তাহলে 1.1715-এর লেভেলের পুনরায় টেস্ট বা 1.1675 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করাই ভাল হবে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের অবশ্যই এই পেয়ারের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3675 ব্রেক করতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যের 1.3705-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোতে পারবে, যার ওপরে মোমেন্টাম ধরে রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3746 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা 1.3635-এ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। এই রেঞ্জ ব্রেক করতে পারলে তা ক্রেতাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3600 এবং সম্ভবত 1.3565 পর্যন্ত কমে যাবে।