আরও দেখুন
শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সম্পূর্ণভাবে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট এবং স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। EUR/USD পেয়ারের মতোই, সেদিন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ছিল না, এবং যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস পালিত হওয়ায় সমস্ত স্টক ও কারেন্সি মার্কেট বন্ধ ছিল। যেমনটি আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম, শুক্রবার এই পেয়ারের ক্ষেত্রেও অনেকটা ছুটির দিন পালিত হয়েছে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল এবং সেটি কার্যকর করাও সম্ভব ছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় (যখন কিছুটা মুভমেন্ট সৃষ্টির আশা ছিল), এই পেয়ারের মূল্য 1.3682 লেভেল থেকে দুবার বাউন্স করে নিম্নমুখী হয়ে 1.3643–1.3652 লেভেলে নেমে যায়, যেখানে দিনের বাকি সময় মূল্য স্থির ছিল। অস্থিরতার মাত্রা প্রায় শূন্যের কোঠায় থাকবে তা জানা অবস্থায় শর্ট পজিশন ওপেন করাটা খুব একটা অর্থবহ না হলেও, এই সিগন্যাল থেকে আনুমানিক 20–25 পয়েন্ট মুনাফা করা সম্ভব হয়েছে।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের তীব্র দরপতন হয়েছে, কিন্তু এই দরপতন ডলারের জন্য কোনো নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেনি। আসলে, ডলারের মূল্য কেবল একদিনের জন্যই বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেশ সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল উপেক্ষিত হয়েছে। অতএব, আগের মতোই একই উপসংহার টানা যায়: কোনো পরিস্থিতিতেই ট্রেডাররা ডলার কেনার ব্যাপারে আগ্রহী নয়।
সোমবার আবারও নিম্ন মাত্রার অস্থিরতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হতে পারে, কারণ দিনের বেলা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের নতুন আপওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, যা আবারও ব্রিটিশ মুদ্রার দর বৃদ্ধির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর ভিত্তিতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3518–1.3535, 1.3580–1.3592, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832। সোমবার, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা বক্তব্যসূচি নেই, তাই সারাদিন জুড়ে সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের নিম্ন মাত্রার অস্থিরতাই বজায় থাকবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
চার্টের মূল উপাদান:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।