আরও দেখুন
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মাঝারি মাত্রার নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যা স্পষ্টভাবে একটি টেকনিক্যাল কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। সোমবার ও মঙ্গলবার—এই দুদিনেই যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশিত বা ইভেন্ট ছিল না। কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের ১৫টি দেশের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যিক অংশীদারদের "উত্তেজিত" করার চেষ্টা করেছেন। মার্কেটের ট্রেডাররা এই সিদ্ধান্তের প্রতি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি—অন্যথায়, আমরা আরও একবার ডলারের তীব্র দরপতন দেখতে পেতাম। ট্রেডাররা শান্ত ছিল কারণ বাস্তবে কোনো শুল্ক বৃদ্ধি কার্যকর হয়নি। ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, এই শুল্ক ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে, যাতে দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে পারে। এবং ১ আগস্টের আগ পর্যন্ত অনেক কিছুই ঘটতে পারে। ট্রাম্প এই সময়ের মধ্যে আরও দশবার শুল্ক হার পরিবর্তন করতে পারেন। এছাড়াও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাতের বেলায় সমস্ত তামা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছেন। এটি স্পষ্ট যে বাণিজ্যসংঘাত নিরসনের কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে একাধিক শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। নতুন ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিই যে প্রতিটি সিগন্যাল লাভজনক হবে—এমনটি নয়। ট্রেডিংয়ে লোকসান ও মুনাফা—উভয়ই হয়। গতকাল একটি সফল দিন ছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3643 লেভেল থেকে নিখুঁতভাবে রিবাউন্ড করে এবং মার্কিন সেশনের শুরুতে 1.3518–1.3535 লেভেলে পৌঁছে যায়। এই এরিয়া থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে একটি বাই এন্ট্রির সুযোগ তৈরি হয়, এবং দিনের শেষে মূল্য 1.3574–1.3590 লেভেলে ফিরে আসে। এর ফলে দুটি ট্রেড ওপেন করা যেত—দুটি ট্রেডই লাভজনক ছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, গত সপ্তাহে GBP/USD পেয়ার তীব্র দরপতনের শিকার হয়েছিল, তবে সেটাই ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ছিল। গত চার দিনে মার্কিন ডলারের দর কেবল সামান্য পরিমাণে বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এটির মূল্য কেবল একদিনের জন্যই বেড়েছে, তাও একের পর এক মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল উপেক্ষা করে। সুতরাং, একই পরিস্থিতি বজায় রয়েছে: ট্রেডাররা এখনো কোনো পরিস্থিতিতেই ডলার কেনার ব্যাপারে আগ্রহী নয়। বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে, তা একটি টেকনিক্যাল কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
বুধবার, আবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হতে পারে, কারণ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে একটি ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, এবং সেটি ব্রেক করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সংকেত দেবে। যেকোনো সময় পুনরায় ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3518–1.3535, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832।
বুধবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা বক্তৃতা নির্ধারিত নেই, তাই ট্রেডাররা আবারও শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা ও সিদ্ধান্তের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।