আরও দেখুন
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3571-এর লেভেল টেস্ট করেছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয়বার মতো 1.3571-এর লেভেলের টেস্ট হয়, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ নিশ্চিত করে। কিন্তু এর পরেও এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়।
মার্কিন ডলারের দর পুনরায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গতকাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সমস্ত তামাজাত পণ্যের ওপর 50% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের ওপর উল্লেখযোগ্য আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেন—যা অনেকগুলো মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিবৃতিগুলোর ফলে বিশ্ববাজারে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করা ধাতবপণ্য ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো চাপের মুখে পড়ে। GBP/USD পেয়ারের দরপতন ঘটে, যা পাউন্ডের দুর্বলতার কারণে নয় বরং ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে হয়েছে।
আজ দিনের প্রথমার্ধে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন, আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির আলোচনার সারাংশ এবং বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো পাউন্ডকে সাময়িকভাবে সমর্থন দিতে পারে, তবে এই সমর্থনের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বর্তমান অবস্থান মূল্যায়ন করেছে, এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটাতে হলে আসন্ন প্রতিবেদনে আশাতীতভাবে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত থাকতে হবে। তবে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে উদ্বেগের কথা বিবেচনায় রেখে এই ধরনের দৃশ্যপটের খুব একটা সম্ভাবনা নেই। বিনিয়োগকারীরা আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করবে, যাতে সম্ভাব্য মার্কিন শুল্ক নীতির ঝুঁকি এবং তার ফলে সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব মূল্যায়ন করা যায়।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 অনুযায়ী বাই এবং সেল সিগন্যাল বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3633-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3590-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3633-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকটিভ বাউন্সের অংশ হিসেবে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3568-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3590 এবং 1.3633-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3568-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3525-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। চলমান বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3590-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3568 এবং 1.3525-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।