empty
 
 
10.07.2025 09:13 AM
১০ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে এবং মূল্যের অস্থিরতার মাত্রাও অত্যন্ত কম ছিল। সারাদিনে এই পেয়ারের মূল্যের কোনো প্রকৃত মুভমেন্ট দেখা যায়নি, কোনো প্রাসঙ্গিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও ছিল না, অথচ ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের প্রায় অর্ধেক দেশগুলোর উপর নতুন বা বাড়তি শুল্কের হুমকি দিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়েই যাচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও ফেডারেল রিজার্ভ এবং জেরোম পাওয়েলের সমালোচনা করেছেন এবং কমপক্ষে 3% সুদের হার কমানোর দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের একটি নিম্নমুখী প্রবণতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান এবং মূল্য খুব শিগগিরই ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইনের কাছ থেকে রিবাউন্ড করতে পারে। আমরা এখনও মনে করি না যে ডলারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বা দীর্ঘ সময়ের জন্য বৃদ্ধি পাবে, তাই আমরা ধারণা করছি ট্রেন্ডলাইনের উপরে ব্রেকআউট হলে পুনরায় ব্রিটিশ কারেন্সির দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার ৫-মিনিটের চার্টে স্পষ্টভাবে ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে এবং বারবার 1.3574–1.3590-এর লেভেল টেস্ট ও রিবাউন্ড করেছে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, সারাদিন জুড়ে অনেকগুলি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তাই নতুন ট্রেডারদের জন্য লং পজিশনে এন্ট্রির যৌক্তিকতা ছিল। তবে সেই ট্রেডগুলো থেকে লাভ বা লোকসান কোনোটিই হয়নি, কারণ মার্কেট স্থবির অবস্থায় ছিল। মনে হচ্ছে একটি নতুন প্রবণতা গঠিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, গত সপ্তাহে GBP/USD পেয়ার তীব্র দরপতনের শিকার হয়েছিল, তবে সেটাই ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ছিল। গত পাঁচ দিনে মার্কিন ডলারের দর কেবল সামান্য পরিমাণে বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে, একদিন ব্যতীত ডলারের মূল্যের কোনো দৃশ্যমান উত্থান দেখা যায়নি, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একাধিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। অতএব, সার্বিক উপসংহার একইরকম রয়েছে: বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রেডাররা এখনও ডলার কেনার ব্যাপারে আগ্রহী নয়। সাম্প্রতিক মুভমেন্ট নিছকই একটি টেকনিক্যাল কারেকশন ছিল।

বৃহস্পতিবার আবারও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হতে পারে, কারণ সপ্তাহের শেষদিকের ট্রেডিংয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে একটি ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, এবং এটি ব্রেকআউট করে এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাবর্তনের সংকেত হিসেবে বিবেচিত হবে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবারের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3518–1.3535, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832।

বৃহস্পতিবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে আবারও তেমন কোনো প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে "স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন" জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে ট্রাম্পের বক্তৃতার প্রতি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না, তবে মনে হচ্ছে ডলারের আরেকটি দরপতন আসন্ন।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.