আরও দেখুন
সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। স্মরণ করা যাক, গত সপ্তাহেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র — উভয় অঞ্চলেই — কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা, ভাষণ বা উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল না। কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদিনের মতো নতুন করে শুল্ক আরোপ ও বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে গেছেন। তবে কোনো এক অজানা কারণে, মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা এই ঘোষণাগুলো সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছে। বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে টেকনিক্যাল ভিত্তিতে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হচ্ছে। সোমবার ইউরো ও পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের দ্বারা প্রভাবিত হবে না।
সোমবারের মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকেও উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। আমরা বহুবার বলেছি, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ফেডারেল রিজার্ভ (ফেডের), অথবা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড-এর প্রতিনিধিদের বক্তব্য বর্তমানে মার্কেটের উপর কার্যত কোনো প্রভাব ফেলছে না। এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিগত অবস্থান এখন একেবারে স্পষ্ট। কোনো প্রশ্ন নেই এবং মুদ্রানীতির পরিবর্তনের প্রভাবও এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় রয়েছে। মনে করিয়ে দেই, 2025 সালে ইউরো ও পাউন্ড — উভয় কারেন্সিই — ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো নমনীয় মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে।
মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগ হিসেবে বাণিজ্যযুদ্ধ রয়ে গেছে, যার কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। বরং পরিস্থিতি ক্রমেই আরও জটিল হচ্ছে, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত কেবল তিনটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন — যার একটি নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। তদুপরি, সব ধরনের শুল্ক এখনও কার্যকর থাকায়, মার্কেটে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো বাস্তব ভিত্তিও নেই। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আবারও তাদের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না (প্রায় সব দেশই), এবং একই সঙ্গে তামা, ওষুধ এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেন। সার্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়ের সাথে সাথে মার্কেটের অবস্থা ভালো হচ্ছে না। তাই আমরা এখনো ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোনো যৌক্তিক কারণ দেখতে পাচ্ছি না।
নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের খুবই ধীর গতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন বা ইভেন্ট নেই। টেকনিক্যাল কারেকশন চলমান রয়েছে, তবে যেকোনো সময় তা শেষ হয়ে যেতে পারে। উভয় পেয়ারের ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে — যদি মূল্য এই ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে, তবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।