empty
 
 
15.07.2025 09:24 AM
১৫ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। দিনের প্রধান প্রতিবেদন নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI)। কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? বর্তমানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির ফলাফল ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালাকে তেমনভাবে প্রভাবিত করছে না, কারণ জেরোম পাওয়েলের নেতৃত্বাধীন মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কগুলোর পূর্ণ প্রভাব অর্থনীতির মূল সূচকগুলোতে কেমনভাবে পড়ে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করার কৌশল বেছে নিয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির পরিবর্তন যেমনই হোক না কেন, ফেডের বর্তমান অবস্থান অনড় থাকবে। তবে, যদি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটি পাওয়েলের অবস্থানকে সমর্থন করবে — যে মুদ্রাস্ফীতি সত্যিই বাড়ছে এবং 2025 সালের শেষ নাগাদ এটি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, চলতি বছরে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সম্ভাবনা কমে যাবে, যা ডলারের জন্য স্থানীয়ভাবে কিছুটা সহায়ক হতে পারে। ইউরোজোনেও আজ শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যদিও এটির ফলাফল মার্কেটে সীমিত প্রতিক্রিয়াই সৃষ্টি করতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি ভাষণ দেবেন। পাশাপাশি, ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি মিশেল বোম্যান, লরি লোগান এবং মাইকেল বার মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের ঠিক পরেই বক্তব্য রাখবেন এবং সম্ভবত এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে মন্তব্য করবেন। তবে, বেইলি কিংবা ফেডের কমিটির সদস্যদের অবস্থান পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, তাই এসব ঘটনা মূলত আনুষ্ঠানিকতাই রয়ে যাবে।

এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই ট্রেডারদের প্রধান মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং এখনও এর কোনো সমাধানের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি করতে পেরেছেন, যার মধ্যে একটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এর পাশাপাশি, এটা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না যে যদি সব শুল্কই বহাল থাকে তাহলে এই চুক্তি নিয়ে খুশি হওয়ার কী আছে। যাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে না (মূলত সব দেশের সাথে) তাদের উপর গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, একই সঙ্গে তামা, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপর আমদানি শুল্কও বাড়ানো হয়েছে। আমরা দেখছি, সময়ের সাথে পরিস্থিতির উন্নতি তো হচ্ছে না, বরং আরও অবনতির দিকেই যাচ্ছে। তাই, এখনো ডলারের শক্তিশালী হওয়ার জন্য আমরা কোনো কারণ দেখছি না।

উপসংহার:

নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই মন্থরভাবে ট্রেডিং চলমান থাকতে পারে, কারণ এদিনের জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। টেকনিক্যাল কারেকশন অব্যাহত থাকলেও, তা যেকোনো মুহূর্তে শেষ হতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্যেরই ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে; এই লাইনগুলো ব্রেক করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.