আরও দেখুন
বুধবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন, যা এক ঘন্টার মধ্যেই প্রকাশিত হবে। যদিও আমরা মনে করি না যে এই প্রতিবেদনের ফলাফল ট্রেডারদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ, তবুও মার্কেটে প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বর্তমান অবস্থান বেশ স্পষ্ট: সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি তীব্রভাবে বেড়েছে (এবং জুনে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনাও কম), ফলে আপাতত মূল সুদের হার কমানো নিয়ে কোনো আলোচনা হচ্ছে না।
GBP/USD পেয়ারের উপর এই প্রতিবেদনের প্রভাবের বিষয়ে বলতে গেলে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিছক টেকনিক্যাল কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার যদি মাত্র 0.1% হারে কমে, সেটিও একটি আনুষ্ঠানিক অজুহাত হিসেবে কাজ করে এই দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ উৎপাদক মূল্যসূচক (PPI) এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে। যদিও এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়, তবুও ট্রেডাররা এগুলোর ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।
বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্য হ্যামাক, বার এবং উইলিয়ামসের নতুন বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। তবে আগেই আমরা যেমনটি উল্লেখ করেছি, ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এবং গতকালের ঘটনাপ্রবাহ দ্বারা এটি প্রমাণিত যে ট্রেডাররা এখনও ফেডের আনুষ্ঠানিক অবস্থানের পরিবর্তে নিজেদের প্রত্যাশার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোকে মূল্যায়ন করছে।
এখনো বাণিজ্যযুদ্ধই ট্রেডারদের প্রধান উদ্বেগের কারণ হিসেবে রয়ে গেছে, এবং এর সমাধানের কোনো ইঙ্গিত আমরা এখনো দেখছি না। বরং উত্তেজনা আরও বাড়ছে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পর্যন্ত মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন, যার মধ্যে একটি নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। তাছাড়া, যদি সব ধরনের শুল্ক আগের মতোই বহাল থাকে, তবে খুশি হওয়ার মতো আসলে কিছুই নেই।
গত দেড় সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন সব দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী নয় (অর্থাৎ, প্রায় সব দেশই), পাশাপাশি তামা, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের উপর আমদানি শুল্কও বৃদ্ধি করেছেন। আমরা যেমন দেখছি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়ে বরং অবনতি ঘটছে। তাই বর্তমানে ডলারের যে দর বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, সেটি বিভ্রান্তিকর হতে পারে।
নতুন সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট কম থাকার কারণে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বা দুর্বল ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যেতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন এখনো চলমান রয়েছে, তবে তা যেকোনো সময় শেষ হয়ে যেতে পারে। উভয় পেয়ারের ক্ষেত্রেই একটি করে ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন বিদ্যমান, এবং সেই লাইন ব্রেক করে মূল্য উপরের দিকে গেলে সেটি ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সংকেত প্রদান করবে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।