আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1671-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। এর ফলে, এই পেয়ারের 50 পিপসের বেশি দরপতন হয়েছে।
জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) 0.3% বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে। বার্ষিক ভিত্তিতে, দেশটির মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে 2.7%-এ দাঁড়িয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির এই গতি আবারও মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার সম্ভাব্য পরিবর্তনের দিকে আকর্ষণ করেছে। দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ সুদের হার বজায় থাকার প্রত্যাশা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। সামনের সময়গুলোতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতির হার কারেন্সি মার্কেটের পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের আসন্ন বৈঠক ও কর্মকর্তাদের বক্তব্য ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, যাতে চলতি বছরে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন করা যায়।
আজকের সেশনের জন্য ইউরোজোনের ট্রেড ব্যালান্স ও ইতালির মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে যেগুলোর উপর নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এসব সূচক ইউরোপীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের মূল্যায়নে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, তথাপি এগুলোর ওপর নজর রাখা জরুরি। ইউরোজোনের ট্রেড ব্যালান্স ইউরোপীয় ব্যবসায়িক খাতের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতার একটি মুখ্য নির্দেশক। এই প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল (রপ্তানি আমদানির চেয়ে বেশি) সেটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং ইউরোর দর বৃদ্ধি করে। বিপরীতে, নেতিবাচক ফলাফল শিল্প খাতে দুর্বলতা ও প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিতে পারে। ইতালির ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) দেশটির মুখ্য মুদ্রাস্ফীতি সূচক। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি সরাসরি ভোক্তাদের ব্যয়ক্ষমতা এবং ক্রয়শক্তির উপর প্রভাব ফেলে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1657-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1627-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1657-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ ইউরোর যেকোনো মূল্য বৃদ্ধিকে কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1607-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1627 এবং 1.1657-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1607-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1582-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1627-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1607 এবং 1.1582-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।