আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের বেশ ওপরে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.3461-এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি এই পেয়ার ক্রয় করিনি। 1.3461-এর লেভেল দ্বিতীয়বার টেস্ট করার সময়, MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, তখন এই পেয়ারের সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর করা সম্ভব হয়, যার ফলে এই পেয়ারের 40-পয়েন্টের দরপতন ঘটে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন বাজার সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে, যার ফলে ডলার শক্তিশালী হয়েছে এবং পাউন্ড দুর্বল হয়েছে। আবাসন খাতে এই অপ্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি ইঙ্গিত দেয় যে মার্কিন অর্থনীতি পূর্বানুমানের চেয়ে বেশি স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন বাড়ি বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি, বাড়ির দামের ঊর্ধ্বগতি এবং মর্টগেজ হারের নিম্নগতি—সবকিছু মিলিয়ে ডলার আরও শক্তিশালী হওয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ পাউন্ড একাধিক কারণের কারণে চাপের মুখে রয়েছে। স্বল্পমেয়াদে পাউন্ড তুলনামূলকভাবে দুর্বল হচ্ছে। যদি যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সূচকগুলোর ফলাফল হতাশাজনক হতে থাকে এবং ডলার আরও শক্তিশালী হয়, তাহলে পাউন্ডের আরও দরপতন হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের সতর্কভাবে অগ্রসর হওয়া উচিত এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় অঞ্চলের ঘটনাপ্রবাহ সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
আজ সকালে যুক্তরাজ্যের কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় এক ধরনের স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যা দ্রুত অন্যান্য প্রভাবক দ্বারা পূরণ হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা এখন দৃষ্টি দিচ্ছে বৈশ্বিক ঘটনাবলির দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের দিকে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বিবৃতির দিকে—যা সবই ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দিব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3467-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3436-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3467-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3417-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3436 এবং 1.3467-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3417-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3394-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। চলমান বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3436-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3417 এবং 1.3394-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।