আরও দেখুন
বুধবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। মূলত, এই সপ্তাহে প্রতিদিন একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে — এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের ওপরে স্থায়ীভাবে অবস্থান নেওয়ার পর যেমনটি প্রত্যাশিত ছিল, অব্যাহতভাবে ডলারের দরপতন হচ্ছে। সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। তবুও, ট্রেডাররা ধারাবাহিকভাবে মার্কিন ডলার বিক্রি করে চলেছেন।
সপ্তাহের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রাসেলসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তিনি ইইউ-র ওপর ৩০% শুল্ক আরোপ করবেন। কেউ কেউ বলতে পারেন যে, এই ঘোষণাই ডলারের দরপতনের নতুন ঢেউয়ের সূচনা করেছে। তবে মনে করিয়ে দিই, গত তিন সপ্তাহে ট্রাম্প ২৪টি দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে এবং তামা ও ওষুধের ওপরও নতুন শুল্কের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই ইইউ-এর উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণাই ডলারের দরপতনের একমাত্র কারণ নয় — বরং এটি প্রধান কারণ নাও হতে পারে। গতকাল ট্রাম্প জাপানের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির স্বাক্ষরের কথাও ঘোষণা করেছেন। এই খবরের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া চার্টেই প্রতিফলিত হচ্ছে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বুধবার তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক অস্থিরতার পরিমাণ অত্যন্ত কম ছিল। 1.1740–1.1745 এরিয়ায় গঠিত প্রথম দুইটি সেল সিগন্যালে ডলারের দর ১৫ পিপস বেড়েছিল। শেষের বাই সিগন্যালে ইউরোর দর ২০ পিপস বেড়েছিল। ফলে, টেকনিক্যালি সিগন্যালগুলো ভুল ছিল না, তবে এগুলো থেকে মুনাফা করাও খুবই কঠিন ছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের তিন সপ্তাহব্যাপী কারেকশন সম্ভবত শেষ হয়েছে। যেহেতু সম্প্রতি ট্রাম্পের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং পাওয়েলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ও বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে, তাই মাঝারি মেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো কারণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, তাই ইউরোর মূল্যের নতুন একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ 1.1666-এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেল এবং ট্রেন্ডলাইন ইতোমধ্যেই ব্রেক করেছে। একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা সংবাদ মার্কেটের ট্রেডারদের আরও ডলার বিক্রি করতে উৎসাহিত করছে।
৫ মিনিটের চার্টে নিচের লেভেলগুলোর ওপর নজর রাখুন: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1563–1.1571, 1.1655–1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908।
বৃহস্পতিবার ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, সেইসাথে অতিরিক্ত হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই ইভেন্টগুলো মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তবে ডলারের মূল্যের বর্তমান নিম্নমুখী প্রবণতার পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।