empty
 
 
24.07.2025 08:11 AM
২৪ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে এগুলোর ধরন অনেকটাই একরকম। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই মাসের পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক প্রকাশিত হবে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—যেকোনো সূচকের ফলাফল যদি পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তাহলে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সূচকগুলোকে ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না—বিশেষ করে তখন, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রভাব ছাড়াই মার্কিন ডলার টানা ছয় মাস ধরে দরপতনের শিকার হচ্ছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠক নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রথমত, আজ ইসিবির পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, ইসিবি মূল সুদের হার ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে দিলেও ইউরোর দর স্থায়ীভাবে বাড়ছে। অর্থাৎ, বর্তমানে ইসিবির মুদ্রানীতির সঙ্গে ইউরোর এক্সচেঞ্জ রেটের তেমন কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই, ইসিবি কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করলেও মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমেয়াদে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে—তবে সেই প্রতিক্রিয়া সামগ্রিক মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করবে বলে মনে হয় না, কারণ গত ছয় মাস ধরে মার্কেটে ইউরোর মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে।

মার্কেটের ট্রেডারদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে এখনও বাণিজ্য যুদ্ধই বিবেচিত হচ্ছে। এবং এখনো এর অবসানের কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি আরও দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের মূল্যের মূল অনুঘটক হিসেবে রয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। তাই যদি আমরা প্রতিদিন একই বার্তার পুনরাবৃত্তি করছি, সেটি দেখে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি এখনও জটিল, কারণ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনার পর ট্রাম্প মাত্র তিনটি দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন—তাও এর একটি প্রশ্নবিদ্ধ— ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র ৩টি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিশেষ করে যেসব দেশ ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না তাদের উপর। একইসঙ্গে তামা, ওষুধ এবং সেমিকন্ডাক্টর আমদানিতে শুল্কও বাড়ানো হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো এই নতুন শুল্কগুলোর প্রভাব পুরোপুরি মূল্যায়ন করতে পারেনি, কারণ এই সময়টায় মার্কেটে টেকনিক্যাল কারেকশন হয়েছে।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, তাই আমরা আশা করছি যে সামনের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে উভয় পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি চলমান থাকবে। ইউরোর ক্ষেত্রে 1.1740–1.1745 জোন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা ইতোমধ্যে ব্রেক করা হয়েছে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া হলো 1.3574–1.3590।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.