আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ার তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী দরপতনের শিকার হয়, যার অন্যতম কারণ ছিল যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকের দুর্বল ফলাফল। তবে এই ব্যাখ্যা মাত্র ৫০% সঠিক। কারণ, একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক সূচকগুলোর ফলাফল খুব একটা ভালো ছিল না, তবুও পুরো দিনজুড়েই ডলার শক্তিশালী হয়েছে। তাই আমরা মনে করি না যে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল পাউন্ডের পতনের প্রধান কারণ ছিল।
সাম্প্রতিক তিনটি স্থানীয় সর্বনিম্ন লেভেলের ওপর ভিত্তি করে একটি অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন আঁকা হয়েছিল, এবং এই লাইনের ওপরে এখনো ক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। আগের মতোই, আমরা এখনো মধ্যমেয়াদে মার্কিন ডলারের শক্তিশালী দর বৃদ্ধির পাওয়ার পক্ষে কোনো মৌলিক ভিত্তি দেখছি না। আমাদের দৃষ্টিতে বাণিজ্য যুদ্ধ বিষয়ক পরিস্থিতি এবং জেরোম পাওয়েলের ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রতিনিয়ত আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে, যা ডলারকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার যে, যেকোনো মৌলিক ব্যাখ্যাকে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ দিয়ে সমর্থিত হতে হয়। যদি আজকের সেশনে মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেট করে, তবে তা স্বল্পমেয়াদি প্রবণতা পরিবর্তিত হয়ে নিম্নমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত দেবে।
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার একাধিক ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে এই পেয়ারের মূল্য 1.3574–1.3590 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে, যা শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয়। আবার, মার্কিন সেশনের শুরুতে 1.3518–1.3532 এরিয়া টেস্ট হয়, যা একটি সম্ভাব্য বাই সিগনাল প্রদান করে। যদিও বাই সিগনালটি শেষ পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হয়, তবে এটি থেকে কোনো লোকসান হয়নি, কারণ মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকে প্রায় ২০ পিপস পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিল।
দিনের শেষে পাউন্ডের মূল্য 1.3518–1.3532 এরিয়া ব্রেক করে নিচে নেমে যায়। সিগনালটি প্রায় রাতের দিকে গঠিত হলেও এটি ব্যবহার করে ট্রেড করা যেত।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্থানীয় পর্যায়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের ওপরে কনসোলিডেট করেছে, যা আসন্ন সপ্তাহগুলোতে সম্ভাব্য মূল্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। মৌলিক পরিস্থিতি এখনো মার্কিন ডলারের বিপক্ষে কাজ করছে, এবং ডলারের জন্য নেতিবাচক বহু বিষয় এখনো মার্কেটে পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি।
শুক্রবার, স্থানীয় মৌলিক প্রেক্ষাপট উপেক্ষিত হয়েও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। তবে লং পজিশন ওপেন করতে এখন 1.3518–1.3532 এরিয়ার ওপরে মূল্যের কনসোলিডেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
5 মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যে খুচরা বিক্রয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। উভয় প্রতিবেদনই তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলোর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মার্কেটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।