আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3436-এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি এবং এই পেয়ারের মূল্যের সামান্য নিম্নমুখী মুভমেন্ট এড়িয়ে গেছি।
গত শুক্রবার, যুক্তরাষ্ট্রের ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হয়, যা ডলারকে সমর্থন জোগায় এবং GBP/USD পেয়ারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। বিনিয়োগকারীরা, যারা মিশ্র পরিসংখ্যানে অভ্যস্ত, এই তথ্যকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার লক্ষণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, যার ফলে ডলারের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়। এই খবরে পাউন্ডের ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি হয় এবং এটি মার্কিন ডলারের বিপরীতে দরপতনের শিকার হয়। এটা জ্ঞাত বিষয় যে, ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের চাহিদা অর্থনৈতিক কার্যকলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল ভবিষ্যৎ নিয়ে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস এবং বিনিয়োগের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়।
আজ বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি CBI খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন ওপর নিবদ্ধ রয়েছে, এবং এই প্রতিবেদন হতাশাজনক ফলাফল GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনটিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে দেখছেন এবং তা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রত্যাশার তুলনায় নেতিবাচক ফলাফল নিঃসন্দেহে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করবে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের আরও দরপতন হওয়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। উপরন্তু, খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডকে মুদ্রানীতি পুনর্বিবেচনার জন্য বাধ্য করতে পারে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন দিতে মুদ্রানীতির নমনীয় করার পদক্ষেপ নিতে পারে, যার ফলে পাউন্ড আরও দুর্বল হতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3493-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3445-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3493-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ড ক্রয় করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3423-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3445 এবং 1.3493-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা#1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3423-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলের নিচে নেমে পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3379-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3445-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3423 এবং 1.3379-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।