আরও দেখুন
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যদিও তা খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। মঙ্গলবারের মৌলিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট দুর্বল ছিল, এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নতুন কোনো মন্তব্য আসেনি, তাই ট্রেডারদের প্রায় পুরো দিনই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির প্রেক্ষাপটে ট্রেড করতে হয়েছে — যে চুক্তি সোমবার ইউরো ও পাউন্ড উভয়েরই তীব্র দরপতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যেমনটি দেখা যাচ্ছে, মার্কেট তুলনামূলকভাবে দ্রুত পুনরুদ্ধার করেছে এবং অযৌক্তিক আচরণ বন্ধ করেছে। মনে করিয়ে দিই, আমরা দৈনিক টাইমফ্রেমে এই নিম্নমুখী কারেকশনকে সম্পূর্ণরূপে যৌক্তিক বলে বিবেচনা করছি এবং টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এটি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে করি। একই সময়ে, সোমবার ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন মৌলিক কারণ ছিল না। হ্যাঁ, ট্রাম্প একটি বাণিজ্য চুক্তিতে সই করেছেন — যা শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেই সুবিধাজনক। তবে এই চুক্তি শুল্কের অস্তিত্ব, বাণিজ্য যুদ্ধের ধারাবাহিকতা কিংবা ট্রাম্পের সারা বিশ্বের ওপর শুল্ক আরোপের আগ্রহকে বাতিল করে দেয় না।
মঙ্গলবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে আমরা কেবল একটি বিষয়ই লক্ষ্য করেছি — সেটি হচ্ছে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট। ফলে, ট্রেডিং সিগন্যালগুলোও এই পেয়ারের মূল্যের এই মুভমেন্টের ধরন অনুযায়ী ছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.3329–1.3331 এরিয়া চারবার অতিক্রম করেছে, কিন্তু কোনো তাৎপর্যপূর্ণ মুভমেন্ট তৈরি হয়নি। তাই, নতুন ট্রেডাররা প্রথম দুটি সিগন্যাল অনুযায়ী ট্রেড ওপেন করতে পারতেন, যদিও সেগুলোতে লাভ হয়নি। দ্বিতীয় সিগন্যালটি ব্রেকইভেনে ক্লোজ করা সম্ভব ছিল, কারণ মূল্য ২০ পিপস পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের কারণে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। টানা দুই দিন ধরে কোনো দৃঢ় কোনো মৌলিক ভিত্তি ছাড়াই পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে, এটির মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের নিচে নেমে গেছে, এবং সোমবারে এই দরপতন অব্যাহত থাকার বাস্তবিক কারণ ছিল। সুতরাং, স্বল্পমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে এবং কারেকশনের সম্ভাব্য পরিধি নির্ধারণে দৈনিক টাইমফ্রেম বেশি উপযোগী হবে।
বুধবার, 1.3331 লেভেল থেকে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য রিবাউন্ড দেখা যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের আরও দরপতনের সম্ভাবনা অবশ্যই রয়েছে, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই উরসুলা ভন ডার লেয়েনের ব্যর্থ বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি মূল্যায়নের করেছে — এখন মৌলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং ফেডের বৈঠকের দিকে মনোযোগ স্থানান্তরিত হয়েছে।
বর্তমানে ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832।
বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি এবং ADP কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, একই সঙ্গে সন্ধ্যায় ফেডের বৈঠকের ফলাফল জানানো হবে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।