আরও দেখুন
বুধবার পুরো দিনজুড়ে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। এইবার মার্কিন ডলার মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদন ও ফেডের বৈঠক থেকে শক্তিশালী সমর্থন পেয়েছে। ফলে টানা তৃতীয় দিনের মতো মার্কিন কারেন্সির দর ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপি প্রতিবেদন থেকে ট্রেডাররা জানতে পেরেছে যে দ্বিতীয় প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনীতি 3% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে — যা অফিসিয়াল পূর্বাভাসের চেয়েও অনেক বেশি। সন্ধ্যায়, জেরোম পাওয়েল ইঙ্গিত দেন যে ফেডারেল রিজার্ভ বছরের শেষ নাগাদ মাত্র একবার সুদের হার হ্রাস করতে পারে। এই তথ্যগুলোই পুরো দিন এবং সন্ধ্যা জুড়ে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। এর ফলে, হায়ার টাইমফ্রেমে কারেকশনের অংশ হিসেবে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে এবং বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক প্রেক্ষাপট ডলারকেই সহায়তা করছে।
বুধবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে একাধিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় সেশনের সময়, নতুন ট্রেডাররা 1.1563–1.1571 এরিয়ার রেজিস্ট্যান্স থেকে মূল্যের বাউন্স হওয়ার পর শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন। 1.1455–1.1470 জোনের আশেপাশে এই দরপতন শেষ হয়। ফেডের বৈঠকের ফলাফল প্রকাশের পর আরেকটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়, তবে তখন বেশিরভাগ ট্রেডার সেটি মিস করে থাকতে পারেন।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে আবারও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন শুরু হয়েছে, যার পেছনে মার্কিন–ইইউ বাণিজ্য চুক্তির খবর, মার্কিন জিডিপির শক্তিশালী ফলাফল এবং জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য ভূমিকা রেখেছে। যেহেতু ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালায় বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না — পাওয়েলকে ঘিরে চাপ এবং চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের আবহ যেমন ছিল, তেমনই রয়ে গেছে — তাই আমরা এখনও মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্যের দীর্ঘস্থায়ী বৃদ্ধির পক্ষে কোনো কারণ দেখছি না। তবে স্বল্পমেয়াদে ডলারের দর আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই সম্ভাবনা খুবই কম।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় পর্যায়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, এবং আমরা নতুন ট্রেডারদের 1.1413 লেভেলটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিচ্ছি। এই লেভেল থেকে মূল্য বাউন্স করলে ট্রেডাররা মূল্যের 1.1455 এবং 1.1474-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। আর যদি মূল্য এই লেভেলের নিচে কনসোলিডেট করে, তাহলে মূল্য 1.1363-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে পুনরায় এই পেয়ার বিক্রি করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1563–1.1571, 1.1655–1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908।
বৃহস্পতিবার জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেকারত্বের হার প্রকাশিত হবে, পাশাপাশি জার্মানিতে আরও একটি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য হলো PCE সূচক।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।