আরও দেখুন
বুধবার GBP/USD পেয়ারের দরপতনও অব্যাহত ছিল, এবং এর পেছনের কারণও EUR/USD পেয়ারের মতোই — মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল এবং জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত। মূলত, আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম যে মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও অতিমাত্রায় ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ধারণা করছে। বাস্তবে, যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা নিকট ভবিষ্যতে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করা হবে — এমন ইঙ্গিত দেয় না। তবুও, ট্রেডাররা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্বাস করেছিল যে ফেড সেপ্টেম্বরেই সুদের হার কমানোর চক্রে ফিরে আসবে। এখন মনে হচ্ছে, সেই আশাগুলো আবারও বাস্তবে রূপ নেবে না। পাওয়েল আরও একবার দেখিয়ে দিলেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ তার ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে না এবং এখনও ফেডের স্বাধীনতা বজায় রয়েছে।
বুধবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। মার্কিন সেশনের শুরুতেই এই পেয়ারের মূল্য 1.3329–1.3331 এরিয়া ব্রেক করে নিম্নমুখী হয় এবং দিনের শেষ পর্যন্ত (যার পেছনে পাওয়েলের ভূমিকা ছিল) মূল্য 1.3259 লেভেল পর্যন্ত পৌঁছায় এবং সেই লেভেলও ব্রেক করে ফেলে। ফলে নতুন ট্রেডাররা অন্তত একটি শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন, যা যেকোনো অবস্থাতেই লাভজনক হতো।
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে দেখা যাচ্ছে যে টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। টানা পাঁচদিন ধরে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন হচ্ছে, যদিও প্রকৃতপক্ষে বলা যায় — মার্কিন ডলারের দর টানা পাঁচদিন ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সপ্তাহে এই দরপতন পুরোপুরিভাবে টেকনিক্যাল কারণে হয়েছে, তবে এই সপ্তাহে প্রায় প্রতিটি প্রতিবেদনের ফলাফলই ডলারের পক্ষে কাজ করেছে।
বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3259 লেভেল থেকে কিছুটা বাউন্স করতে পারে। পাউন্ডের দর আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, উরসুলা ভন ডার লাইয়েনের ব্যর্থ বাণিজ্য চুক্তি, জিডিপি প্রতিবেদন এবং ফেডের বৈঠকের ফলাফল ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের চার্টে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে আবারও কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন বা ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, এবং যুক্তরাষ্ট্রেও কেবলমাত্র স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, মার্কিন ডলারের ওপর যেগুলোর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।