আরও দেখুন
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের অনেক নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1413-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি।
কোর পারসোনাল এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচকের বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশের পর মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পায়। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনের ফলাফলের যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে, ফলে তাদের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে নিকটবর্তী সময়ে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের প্রত্যাশা হ্রাস পেয়েছে। PCE সূচকের এই বৃদ্ধি—যা মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপে ফেডের কাছে মুখ্য সূচক হিসেবে বিবেচিত— মুদ্রাস্ফীতির স্থায়ী চাপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে মার্কেটে এই ধারণা আরও জোরদার হয়েছে যে, ফেড হয়তো পূর্বানুমানের চেয়েও দীর্ঘ সময় উচ্চ সুদের হার বজায় রাখতে পারে। এটি বুধবারের ফেডের বৈঠক-পরবর্তী ফেডের চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আজ ইউরোজোনের উৎপাদন সংক্রান্ত PMI ও ভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে কোর CPI-ও প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনগুলো ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। PMI, বা পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স, উৎপাদন খাতের পরিস্থিতি নির্দেশ করে। এই সূচকের ৫০-এর নিচে মান উৎপাদনে সংকোচনের সংকেত দেবে এবং এটি ইউরোকে দুর্বল করতে পারে। ভোক্তা মূল্য সূচকও গুরুত্বপূর্ণ। হেডলাইন CPI-এ বিস্তৃত পরিসরে পণ্য ও সেবার দামের পরিবর্তন তুলে ধরা হয়, আর কোর CPI—যেখানে খাদ্য ও জ্বালানির মতো অস্থির উপাদান বাদ দেওয়া হয়—মুদ্রাস্ফীতির প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা দেয়। CPI-এর বৃদ্ধি ঘটলে ইসিবি মুদ্রানীতি কঠোর করতে বাধ্য হতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করে দিতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1490-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1446-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1490-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1413-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1449 এবং 1.1490-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1413-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1365-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1446-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1413 এবং 1.1365-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।